কলকাতা: কয়েকদিন আসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই দিনটা ছিল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। মা ও দিদির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বাড়িতে পুজোর আয়োজন করেছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিলেন বাড়ির পুজোর বিভিন্ন মুহূর্তও। কিন্তু সপ্তাহের শেষে সোশ্য়াল মিডিয়ায় চমক দিলেন ঋতাভরী। কালো স্নান পোশাকে পুলের জলে লাস্যময়ী অভিনেত্রী। ক্যাপশানে লিখলেন, 'ওয়াটার বেবি'। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই ছবি দেখে উচ্ছসিত অনুরাগীরাও।
সদ্য দুর্গাপুজোর মরসুম গিয়েছে। আর পুজোর মুখেই সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে ঋতাভরী অভিনীত নতুন ছবি 'এফআইআর'। নতুন ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ইশা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছোট্ট ভিডিও ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বলছেন, ইশা চক্রবর্তীর চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে একটা অন্যতম বড় প্রাপ্তি। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন মেয়েদের পছন্দ করি যাঁরা দশভূজা হয়ে সবকিছু সামলাতে পারেন। পর্দার ইশা চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, গ্রামের সবার সুবিধা অসুবিধার খেয়াল রাখে সে। চরিত্রটা আমার কাছে চিরকাল বিশেষ হয়ে থাকবে।'
শারিরীক অসুস্থতা নিয়েই এই ছবিতে কাজ করেছেন ঋতাভরী। শারিরীক অসুস্থতার মধ্যেই চলত ছবির শ্যুটিং! কীভাবে সবকিছু সামলাতেন নায়িকা? এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলেছিলেন, 'আমার টিম যদি আমায় সবসময় সুবিধা না দিত, মাঝপথে এফআইআরের কাজ ছেড়ে দিতে হত আমায়। টানা শ্যুটিং করলেই অসুস্থ হয়ে পড়তাম। কিন্তু আমার টিম সবসময় আমার কথা ভেবে ছবির শিডিউল ঠিক করত। এমনকি বার বার আমার জন্য রিশিডিউলও করতে হয়েছে শ্যুটিং। তবে আমায় সবরকমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করতেন সবাই। আমি এতটাই অসুস্থ ছিলাম, এই প্রথম গোটা শ্যুটিং-এ মা আমার সঙ্গে ছিল। ১২ বছরে আগে কখনও এরকম হয়নি। শ্যুটিংয়ের মধ্যেই মায়ের জন্মদিন পড়েছিল। আমারই এক বন্ধুর বাড়িতে কেক কেটে উদযাপন হল। ছবির সব্বাই সেদিন এসেছিল। আড্ডা.. খাওয়া.. গল্প...। সবার সঙ্গে সেদিনই প্রথম বন্ধুত্ব হল।'