কলকাতা: সাদা পোশাক আর এলো চুল। ঠোঁটে আলগা হাসি। সদ্য পোস্ট করা ছবিতে একরাশ স্নিগ্ধতা। তবে ছবির ক্যাপশানে কিন্তু স্পষ্ট বক্তা ঋতাভরী চক্রবর্তী। কয়েক লাইনেই গুঞ্জনে জল ঢাললেন, জানালেন, 'বিয়ে করছি না'।


ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, এই বছরেই নাকি সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। কিন্তু ঋতাভরীর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্কের কোনও আঁচ নেই। এই প্রথম প্রেম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন নায়িকা। আজ একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'আমি এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করছি না। সদ্য ২টো অস্ত্রোপচার কাটিয়ে উঠেছি আমি। আপাতত আমি শরীরের খেয়াল রাখতে চাই আর আগামী যা যা কাজ আছে সেগুলো শেষ করতে চাই। এই বিষয়ে আর কোনও কথা বলতে চাই না আমি।'


প্রসঙ্গত সদ্য মুক্তি পেয়েছে ঋতাভরীর 'ব্রোকেন ফ্রেম' ছবিটি। হাতে রয়েছে শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত 'মায়ামৃগ' ছবিটিও। মুক্তি পেয়েছে ঋতাভরীর নতুন গান 'সাওন'। অন্যদিকে, নতুন পালক জুড়েছে ঋতাভরীর মুকুটে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে  'অ্যাকটিং ফর ক্যামেরা প্রোগ্রাম'-এ স্নাতক হয়েছেন ঋতাভরী। শুধু তাই নয়, অধিকার করেছেন প্রথম স্থানও।


এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এর আগে ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, 'সবাই জানতে চান আমার কোনও মনের মানুষ আছেন কি না। এটুকু বলতে পারি, ঋতাভরী  সবসময় প্রেমেই থাকে। আমি হোপলেসলি রোম্যান্টিক। তবে কোনও একজন পুরুষকে এতটা গুরুত্ব দিতে রাজি নই। তাই ওটা রহস্যই থাক।',



'ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি'-র শর্বরী স্বপ্ন দেখেছিলেন কলকাতাকে প্রথম এমন শহর বানানো যেখানে প্রত্যেক সাধারণ শৌচালয় থাকবে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন। রাস্তায় প্রয়োজন হলে যে কেউ সেই মেশিন থেকে স্যানিটারি ন্য়াপকিন সংগ্রহ করতে পারবেন বিনামূল্যে। এই বিষয়ে প্রথম বাংলার প্যাডম্যান শোভনের সঙ্গেই পরিকল্পনা করেছিলেন ঋতাভরী। অভিনেত্রী বলছেন, 'একটি সম্মেলনে গিয়ে শোভনের সঙ্গে আমার আলাপ। বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঋতুচক্র সংক্রান্ত স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা প্রচার করে ও। শোভনের সঙ্গে কথা বলেই এই কাজটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি আর রাহুল। ইতিমধ্যেই আমরা কলকাতার ১০০টা সাধারণ শৌচালয়ে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসিয়েছি। করোনা পরিস্থিতির জন্য এখন সমস্ত কাজ বন্ধ পড়ে রয়েছে। নতুন করে কোনও সমস্যা না আসলে এই বছরের মধ্যেই শহরের সমস্ত সাধারণ শৌচালয়ে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন থাকবে। যখন কাজটা হাতে নিয়েছি, শেষ করেই ছাড়ব। আর হ্যাঁ, এই কাজে যারা আমাদের অর্থসাহায্য করেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই পুরুষ।'