কলকাতা: অভিনয়ের শুরু হয়েছিল স্কুল জীবন থেকেই। পাশাপাশি চালিয়ে এসেছেন পড়াশোনা ও অভিনয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের প্রতিভার জোরেই তিনি দাগ কেটেছেন রুপোলি পর্দায়। টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী এখন অন্যতম পরিচিত আর জনপ্রিয় ঝলমলে মুখ তো বটেই। কিন্তু কী হত, যদি অভিনয়ে পাই না রাখতেন তিনি? ছোট থেকে কোন নেশাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর? এবিপি লাইভের 'যদি অভিনেত্রী না হতাম' সিরিজে নিজের স্বপ্ন নিয়ে মুখ খুললেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhori Chakraborty)। 


ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা ভালোবাসতেন। ঋতাভরী বলছেন, 'যখন অভিনয়ে পা রাখিনি, ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার। মনোবিদ। তবে ক্লাস ১১ থেকেই আমার অভিনয়ের শুরু। 'ওগো বধূ সুন্দরী' ধারাবাহিকের হাত ধরে। স্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হই। কিন্তু কাজের চাপে ছেড়ে দিতে হয় বিজ্ঞান। কাজেই মনোবিদ হওয়া আর হল না। কিন্তু তখন থেকেই অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হল।'


অভিনয়ে পা রেখে কী ইচ্ছা হয়েছিল? ঋতাভরী বলছেন, 'অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলার পর থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অভিনেত্রীই হব। তবে যদি অভিনেত্রী না হতাম, তাহলেও রুপোলি পর্দার সঙ্গেই যুক্ত থাকতাম। হয়ত প্রযোজনা করতাম কারণ আমায় ছবির বাণিজ্যিক দিকও আকর্ষণ করে। নিজে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি পরিচালনা করেছি। তাতে যেমন অনেকটা চাপমুক্ত থাকা যায়, তেমনই বিভিন্ন বিষয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এতে কাজ ভালো হয় বলেই আমার মনে হয়।'


সদ্য নতুন ছবি 'ফাটাফাটি'-র কাজ শুরু করবেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের প্রযোজিত ছবির মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে। এই প্রথমবার বড়পর্দায় জুটি বাঁধছেন আবির-ঋতাভরী। অভিনেত্রী বললেন, 'আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেক বিজ্ঞাপনী শ্যুট করেছি। এই প্রথম বড়পর্দায় আমাদের একসঙ্গে দখবেন দর্শক। ছবির বিষয়বস্তুটা ভীষণ আকর্ষণীয় ও সমসাময়িক। আবিরও খুব আগ্রহী ছবিটা করার জন্য। এপ্রিল মাসেই শুরু হবে শ্যুটিং।'