কলকাতা: নতুন ছবির ঘোষণা করলেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। এতদিন নানা চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। এবার তাঁকে পর্দায় দেখা যাবে একজন সিঙ্গল মাদারের চরিত্রে। বাস্তব জীবনে বহু মেয়েরাই সিঙ্গল মাদারের জীবন যাপন করেন। সমাজের নানা রক্তচক্ষুর সম্মুখীনও হতে হয় তাঁদের। পাশাপাশি থাকে আরও নানা প্রতিবন্ধকতা। এবার একজন সিঙ্গল মাদারের জীবনের গল্প নিয়ে আসছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর আগামী ছবি 'আকরিক'।


ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর আগামী ছবি 'আকরিক'-


এদিন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে আগামী ছবি 'আকরিক'-এর ঘোষণা করে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিগুলির কোনওটিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে সহ অভিনেত্রী অনুরাধা রায়ের সঙ্গে। আবার কোনও ছবিতে তাঁকে কেক কাটতে দেখা যাচ্ছে। ছবি পোস্ট করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লেখেন, 'আকরিক। একজন সিঙ্গল মাদারের গল্প।' ছবিটি কবে মুক্তি পাবে সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।



আরও পড়ুন - 300 Crore Club Movies: ৩০০ কোটির ক্লাবে 'কেজিএফ চ্যাপ্টার টু', আর কোন কোন ছবি রয়েছে এই তালিকায়?


প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিমানে না উঠতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ঋতুপর্ণা। বিস্তারিত সেই পোস্টে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, ঠিক কী হয়েছিল নায়িকার সঙ্গে। পোস্টের সঙ্গে তিনি জুড়ে দিয়েছেন নিজের বোর্ডিং পাসও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, আমদাবাদের বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের গেট নং ১৯-এ বোর্ডিংয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল ভোর ৪.৫৫ । তিনি সেখানে যান, ৫.১০ থেকে ৫.১২ মিনিটের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, বোর্ডিং গেট নাকি অনেকক্ষণ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! আরও জানানো হয়, তাঁকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তাঁর নাম ঘোষণাও করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর কাছে বিমানবন্দরের তরফে কোনও ফোন আসেনি। শ্যুটিয়ের কাজেই আমদাবাদ যাচ্ছিলেন ঋতুপর্ণা। সঠিক সময়ে শ্যুটিংয়ে না গেলে প্রযোজকের সমস্যা হবে। বন্ধ হয়ে যাবে শ্যুট। তাই সেই সময় তিনি ক্রমাগত বিমানবন্দরের কর্মীদের তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে থাকেন। এ ভাবে টানা ৪০ মিনিট তাঁর সঙ্গে কথা হয় কর্মীদের। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর সমস্যা কেউ বুঝতেই চাননি! বিমান ধরতে না পারার কষ্টে কেঁদেও ফেলেন তিনি। কিন্তু বিমান কর্মীরা নিজেদের জায়গায় অনড় থাকেন।