কলকাতা: শঙ্খ বাজানো নিয়ে চূড়ান্ত ট্রোলড হতে হয়েছিল তাঁকে। আর ফের একবার তাঁকে ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হতে হলে নাচ নিয়ে। কার্নিভালে উপস্থিত থাকা নিয়ে। মঙ্গলবার শহরে ছিল দুর্গোৎসবের কার্নিভাল। সেই কার্নিভালে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তাঁর সঙ্গেই দেখা গেল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)-কে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ছুঁয়েও প্রণাম করতে দেখা গেল তাঁকে। এর আগে তিনি আসানসোলের একটি কার্নিভালে নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন। আর সেই নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ফের চূড়ান্ত ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হলেন অভিনেত্রী।
এই প্রথম নয়, আরজি কর আবহে একাধিকবার ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি তিলোত্তমার বিচার চেয়ে শঙ্খধ্বনি করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। রাত দখলের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে মুখর হয়ে শঙ্খধ্বনি করারও ডাক ছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ঋতুপর্ণাও একটি শঙ্খ বাজানোর ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় ট্রোলিং। নেতিবাচক পরিস্থিতি দেখে ভিডিওটি মুছে ফেলেন ঋতুপর্ণা। এরপরে তিনি সশরীরে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাতদখলে। কিন্তু সেখানে তিনি হাজির হতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। শ্যামবাজারে গো-ব্যাক স্লোগান ওঠে ঋতুপর্ণাকে ঘিরে। তিনি গাড়ি থেকে নামতেই উড়ে আসে জুতো। চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে গাড়িতে ফিরে যান অভিনেত্রী। এরপরে গাড়ি করেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। যতক্ষণ অভিনেত্রী ওই স্থানে ছিলেন, হাত দিয়ে ক্রমাগত চাপড় মারা হচ্ছিল তাঁর গাড়িতে। এই ঘটনায় ঋতুপর্ণা যে মানসিকভাবে ভীষণ আহত হয়েছিলেন তা তিনি জানিয়েছিলেন পরে।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতুপর্ণার নাচের ক্লিপিংস ছড়িয়ে পড়তেই ফের শুরু হয় ট্রোলিং। অনেকে লেখেন, 'নাচ করতে পারেন না কেন চেষ্টা করেন?' অনেকে আবার লেখেন, 'এর থেকে তো একজন বাচ্চাও ভাল নাচ করে'। এই পরিস্থিতিতে ঋতুপর্ণা অবশ্য কোনও উত্তর দেননি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক ফ্রেমে তাঁর বন্দি হওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অনেকে। শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)-ও ঋতুপর্ণার ছবি শেয়ার করে নিয়ে তাঁর সরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।