Rituparno Ghosh Exclusive: আড্ডা জমত চা-চানাচুরে, 'চোখের বালি'-র শ্যুটিংয়ে জিন্স পরতে দেখে বকেছিলেন ঋতুদা

Tota Roychowdhury on Rituparno Ghosh: আজ, বাঙালির 'ঋতু' পরিবর্তনের জন্মদিন। যিনি চলে গিয়েও রয়েছেন গোটা জীবন জুড়ে, সেই শিক্ষকের স্মৃতি এবিপি লাইভের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন টোটা রায়চৌধুরী

Continues below advertisement

কলকাতা: তাঁর কাছে ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh) কেবল পরিচালক নন, শিক্ষকও। তিনি নেই, ১০ বছর পেরিয়েছে, এখনও নাকি সবচেয়ে বেশি তিনি চর্চিত হন 'চোখের বালি'-র (Cokher Bali) 'বিহারী' হিসেবেই। আজ, বাঙালির 'ঋতু' পরিবর্তনের জন্মদিন। যিনি চলে গিয়েও রয়েছেন গোটা জীবন জুড়ে, সেই শিক্ষকের স্মৃতি এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে ভাগ করে নিলেন টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roychowdhury)। 

Continues below advertisement

'চোখের বালি' ছবিটা যেন তাঁর জীবনের একটি অধ্যায়। টোটা বলছেন, 'ঋতুদা আমায় তখন ভরসা করেছিলেন, যখন আমার নিজের ওপরেই তেমন ভরসা ছিল না। যখন 'চোখের বালি' ছবিতে আমায় বিহারীর চরিত্রে কাস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋতুদা, অনেকে ওঁকে বলেছিলেন, 'টোটা সেই জাতের অভিনেতা নয়, দরের অভিনেতা নয়।' উনি বলেছিলেন, 'আমি বুঝে নেব।' এখনও পর্যন্ত সেই বিহারীর চরিত্রেই আমার অভিনীত অন্যতম সেরা চরিত্র। এখনও চর্চিত হয়, প্রশংসা পাই।'

পরিচালক, অভিনেতা ঋতুপর্ণের বাইরে, মানুষ ঋতুপর্ণকেও চেনার সুযোগ হয়েছিল টোটার। অভিনেতা বলছেন, 'ওঁর বাড়িতে বিকেলে আড্ডা বসত হামেশাই, সঙ্গী হত চা আর উজ্জ্বলা চানাচুর। তবে নিখাদ আড্ডা নয়, কত কীই যে জানতে পারতাম, শিখতে পারতাম। সমৃদ্ধ হতাম। সেই সময়টা কখনও ভোলার নয়। ঋতুদা মজা করে, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে ভালবাসতেন, কিন্তু শটের সময় আবার এক্কেবারে সিরিয়াস।'

আরও একটি ঘটনা মনে পড়ে যায়। টোটা বলছেন, 'বেনারসে চোখের বালির শ্যুটিং চলছে তখন। হঠাৎ ভীষণ ঠাণ্ডা পড়েছে সেদিন, ৩-৪ ডিগ্রি হবে। আমি ধুতি পরে কার্যত কাঁপছি। ঐশ্বর্য্যকে (Aishwariya Rai Bacchan) প্রশ্ন করলাম, ওর ঠাণ্ডা লাগছে কি না? ও জানাল, শাড়ির সঙ্গে ও ত্বকের রঙেরই শীত পোশাক পরেছে। আমার সেইসব নেই। ধুতির নিচে জিন্সটাই পরে নিলাম। দেখতে পেয়েই ভীষণ বকাবকি করলেন ঋতুদা। বললেন, 'কষ্ট না হলে অভিনেতা হওয়া যায় না। তোকে আমি এই শিক্ষা দিচ্ছি!' সেই বকুনিটা এখনও মনে আছে। শুধু ধুতি পরে, ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতেই সেই শ্যুটিংটা শেষ করলাম।'

সেই বকুনি থেকে শিক্ষাও নিয়েছিলেন টোটা। বলছেন, 'এরপরে আরও একটা দৃশ্য়ের শ্যুটিং ছিল সেই শীতকালেই। পুকুরে সাঁতার কেটে শালুক ফুল তুলে আনা। প্রবল শীত উপেক্ষা করেই জলে নেমে পড়লাম। ফুল তুলে নিয়ে এসে ঋতুদাকে বললাম, 'শটটা ঠিক হয়েছে না আবার নেবে?' আঁৎকে উঠে ঋতুদা বললেন, 'এই ঠাণ্ডায় আবার জলে নামবি কি!' আমি বললাম, 'নাহ, তেমন কিছু ঠাণ্ডা নেই।' হেসে ঋতুদা বলেছিলেন, 'আমার কথা আমাকেই ফিরিয়ে দিচ্ছিস'। তারপরে আমায় গরম কফি খাইয়েছিলেন... সেইদিন ওঁর স্নেহের দিকটাও দেখেছিলাম।'

 আরও পড়ুন: Rituparno Ghosh Birthday: মুক্তি পায়নি প্রথম ছবি, ঋতুপর্ণর সঙ্গেই হারিয়ে গেল তাঁর 'সানগ্লাস'

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola