কলকাতা: অভিনয়ে যেমন সাবলীল তিনি, সোশ্যাল মিডিয়াতেই সমানভাবে সক্রিয় আর সাবলীল এই অভিনেতা। খুব লম্বা নয়, কিন্তু তাঁর কয়েক লাইনের বুদ্ধিদীপ্ত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বুদ্ধিদীপ্ত, অর্থবহ পোস্ট হামেশাই শেয়ার করে নেন তিনি। তাতে একদিকে দর্শকেরা যেমন বেশ উপভোগ করেন, তেমনই আবার বিভিন্ন সময়ে ধেয়ে আসে কটাক্ষ ও। শনিবার যুবভারতীতে লিওনেল মেসি (Lionel Messi)-র অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যে লজ্জার ছবি দেখল কলকাতা, এবার সেই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিন ঋত্বিক লেখেন, 'আবার সেই যোগ্যরা পেল না অযোগ্যরা পেল। মেসিকে দেখা নিয়ে বলছি...'। যোগ্য এবং অযোগ্য কথাটি সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে চর্চিত সেটা হল, এসএসসি বিতর্ক। যোগ্য এবং অযোগ্যদের চাকরি বিতর্ক থেকে শুরু করে, যোগ্যদের চাকরি যাওয়া, অযোগ্যদের অনৈতিকভাবে সুযোগ পাওয়া... সব মিলিয়ে এখন চর্চায় এই যোগ্য এবং অযোগ্য শব্দবন্ধ। আর সেই প্রসঙ্গকেই এবার মেসি-দর্শনের ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন ঋত্বিক।
অভিযোগ ছিল, শনিবার লিওনেল মেসি যখন যুবভারতী স্টেডিয়ামে আসেন, তখন তাঁকে ঘিরে ভিড় হয়ে যায়। নাহ.. সাধারণ মানুষ নয়, এই ভিড় রাজনৈতিক নেতা ও তথাকথিত ভিআইপি-দের। ভিড়ের মধ্যে অন্যতম মুখ ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। তিনি কার্যত একেবারে মেসির পাশে পাশে গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করেন। কথা ছিল, মেসি মাঠ প্রদক্ষিণ করবেন, দর্শকদের দিতে হাত নাড়বেন, ছোটদের সঙ্গে ফুটবল ও খেলবেন। কিন্তু এসব হল না কিছুই। মেসিকে ঘিরে রইল ছবিশিকারী, VIP ও রাজনৈতিক নেতাদের ভিড়। এর ফলে, গ্যালারি থেকে সাধারণ মানুষ দেখতেই পেলেন না মেসিকে।
মেসি যখন সময়ের আগেই স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যান, তখনই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যে। মেসিকে আর দেখা যাবে না এটা বুঝতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। চেয়ার উপড়ে ছুঁড়ে ফেলতে থাকেন মাঠে। অনেকেই মাঠে নেমে আসেন, তুলে নিয়ে যান ঘাসের কার্পেট থেকে শুরু করে ফুলের টপ। প্রত্যেকে অভিযোগ করতে থাকেন, মেসিকে ঘিরে এত ভিআইপি-র ভিড় থাকার ফলেই টিকিট কেটেও মেসিকে দেখতে পাননি সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে আবার মেসির সঙ্গে ছবি তোলা ও সেই ছবি পোস্ট করার জন্য কটাক্ষের শিকার হন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
আর এই পরিস্থিতিতেই ঋত্বিক চক্রবর্তী এই স্টেটাস সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছেন। সরাসরি যোগ্য আর অযোগ্য কারা সেটা ঋত্বিক উল্লেখ করে বলে না দিলেও, তিনি যে ঠিক কী বলতে চেয়েছেন, তা নেটিজেনদের কাছে পরিষ্কার।