মুম্বই: রোজই নতুন রেকর্ড গড়ছে, শিরোনামে আসছে রাজা মৌলি পরিচালিত 'আরআরআর'। আর এবার রজনীকান্তের '২.০' ও আমির খানের 'পিকে'-র রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেল 'আরআরআর'। আশি কোটির বক্সঅফিস কালেকশন করেছিল রজনীকান্তের '২.০'। এবার সেই রেকর্ডকেও ছুঁয়ে ফেলল 'আরআরআর'।
নতুন রেকর্ড 'আরআরআর'-এর
মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বক্স অফিসে কার্যত ঝড় চালাচ্ছে 'আরআরআর' (RRR)। 'বাহুবলী' পরিচালক রাজামৌলির এই ছবি সমস্ত রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে প্রতিদিন। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই প্রত্যাশা ছিল। আর মুক্তি পাওয়ার পর সেই প্রত্যাশার প্রভাব পড়তে শুরু করে। মাত্র এক সপ্তাহেই বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি।
ভারতের ট্রেড অ্যানালিটিক্স মনোবালা বিজয়বালান ট্যুইটারে জানিয়েছেন, 'পিকে' ছবির আয়কে ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে 'আরআরআর'। ভারতে সর্বোচ্চ ব্যবসা করা পঞ্চম ছবি হিসেবে উঠে এসেছে 'আরআরআর'। ৮০০ কোটির ব্যবসা করে রেকর্ড গড়েছিল রজনীকান্তের '২.০'। সেই রেকর্ডকেও ভেঙে দিয়েছে 'আরআরআর'।
আরও পড়ুন: ২০১৬ সালে অভিনয়ে পা, জন্মদিনে রশ্মিকা মন্দানার রুপোলি পর্দার যাত্রা
এর আগেই জানা গিয়েছিল, প্রথম সপ্তাহে সবথেকে বেশি ব্যবসা করা ছবির তালিকার শীর্ষে রয়েছে 'আরআরআর'। ছবিটি হিন্দি ভাষায় ব্যবসা করেছে প্রথম সপ্তাহে ১৩২.৫৯ কোটি টাকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে 'সূর্যবংশী'। পরবর্তী তিনটি ছবি যথাক্রমে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস', 'এইট্টি থ্রি' এবং 'গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি।'
প্রসঙ্গত, 'আরআরআর' ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনিয়র এনটিআর এবং রাম চরণ। এছাড়াও দুটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছে আলিয়া ভট্ট এবং অজয় দেবগনকে। পরিচালক রাজামৌলির এই ছবি বক্স অফিসে 'বাহুবলী'কেও টেক্কা দিয়েছে।
'আরআরআর'-এর প্রেক্ষাপট
‘আরআরআর’ , রাইজ (Rise), রোর (Roar), রিভোল্ট (Revolt)। ছবিটির কাহিনি শুরু হচ্ছে ভারতের এক প্রত্যন্ত এলাকায় জঙ্গলে ঘেরা আদিবাসী গ্রামে। সেই গ্রামেরই এক কিশোরী মেয়েকে জোর করে নিজের প্রাসাদে নিয়ে আসেন গভর্নর স্কট বক্সটন এবং তাঁর স্ত্রী লেডি বক্সটন। সেই কিশোরীকে আবার তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার শপথ নিয়ে এক অসম লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয় তেলঙ্গানার আদিবাসী নেতা ভীম। অন্যদিকে আর এক বিপ্লবী, রামা রাজু। তাঁর বাবা ভেঙ্কটের স্বপ্ন ছিল দেশকে স্বাধীন করতে একদিন প্রত্যেক স্বাধীনতা যোদ্ধার হাতে একটি বন্দুক থাকবে। নিজের গ্রামের লোকেদের বাঁচাতে নিজের শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে সে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রিটিশ সেনার। আর বাবার শরীরে বাঁধা সেই বিস্ফোরকে গুলি করে ব্রিটিশদের নিকেশ করেছিল ছোট্ট রামা রাজু। নিজের জীবন দেওয়ার আগে ভেঙ্কট রামাকে দিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছিল, যে ভাবেই হোক একদিন সে প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর হাতে বন্দুক তুলে দেবে। বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্যই ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি নেয় রামা রাজু। তারপর একটু একটু করে নিজের লক্ষ্যে এগোতে থাকে। এর মাঝেই রামার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ভীমের। তারপর দু’জনের লক্ষ্যপূরণের পথে হঠাৎ একে অন্যের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়। পরিস্থিতির কারণেই বন্ধুত্ব দ্বন্দ্বের রূপ নেয়। তারপর সেই দ্বন্দ্ব মেটে। দুই বন্ধু এক হয়ে লড়ে যায় ব্রিটিশ ঔদ্ধত্যের বিনাশের জন্য। শেষ পর্যন্ত রামা রাজু আর ভীম, দু’জনেরই স্বপ্নই সফল হয়। কাহিনি শেষ হয় এক অনাবিল পরিতৃপ্তিতে।