নয়াদিল্লি: আবারও আরএসএসের নিশানায় আমির খান। তাদের মুখপত্র পাঞ্চজন্য- র প্রচ্ছদকাহিনিতেই এবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে আমির খানের জাতীয়তাবাদ নিয়ে।
পাঞ্চজন্য- র সম্পাদক হিতেশ শঙ্কর সম্প্রতি এবিপি নিউজকে বলেন, এটা ঠিক, আমির খান 'লগান','সরফরোশ', '১৮৫৭, দ্য রাইজিং'-এর মতো ছবি করেছেন, কিন্তু আমিরের বর্তমান কার্যকলাপে জাতীয়তাবোধের ছাপ নেই। এছাড়াও চিনা ব্র্যান্ডগুলির অ্যাম্বাসাডর হিসেবে আমিরের কাজ করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। 'ভিভো'র প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।
সম্প্রতি তুরস্কে গিয়ে আমিরের শুটিং করা ও সেখানকার ফার্স্ট লেডির সঙ্গে আলাপচারিতার ছবি নেটদুনিয়ার চর্চার বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে আমির দক্ষিণপন্থীদের টার্গেটও হয়ে যান।
সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে ভারত বিরোধী মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্দোয়ান। অতীতে দিল্লি হিংসা নিয়েও মোদি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।  সেই এর্দোয়ানের স্ত্রী এমিনের সঙ্গে আমিরি-সাক্ষাতকে স্বাভাবিকভাবেই ভাল চোখে দেখেনি গেরুয়া শিবির।
পাঞ্চজন্য-র প্রচ্ছদকাহিনি 'দ্য খান বিলাভড অফ দ্য ড্রাগন' অর্থাত্ ড্রাগনদের পছন্দের খানেরা। লেখার বিষয়বস্তু কোনদিকে ইঙ্গিত করে, তা বোঝার জন্য এই শীর্ষকটিই যথেষ্ট। এই লেখায় আমিরের সমালোচনার পাশাপাশি অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাউত, অজয় দেবগনদের প্রশংসাও করা হয়েছে। এই চিত্রতারকারা তাঁদের ছবির মাধ্যমে কীভাবে ভারতের সনাতনী ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন, তার উদাহরণ টানা হয়েছে।
সম্প্রতি গালোয়ানে ভারতীয় সেনার উপর চিনা আগ্রাসন নিয়ে ছবি করার কথা ঘোষণা করেন অজয় দেবগন। এই ঘোষণার পর ট্যুইটারে কেউ কেউ বিদ্রুপ করে লেখেন...এই রে অক্ষয় কুমারের দেশপ্রেমের পোকা এবার অজয়কেও কামড়েছে।পাঞ্চজন্যে বলা হয়েছে, এর মানে অজয় দেবগনের এই ঘোষণা কারও স্বার্থে আঘাত হেনেছে। এছাড়া মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত ওয়েবসিরিজ 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান'-এরও প্রশংসা করা হয়েছে ওই প্রচ্ছদকাহিনিতে।


এর আগেও দক্ষিণপন্থীদের রোষের মুখে পড়েন আমির। অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য করায় ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দেওয়া হয় তাঁকে। গতবছরের গোড়ার দিকে ঐতিহাসিক চরিত্র মিরজাফর এবং জয়চাঁদের মতো আমির ও নাসিরুদ্দিনকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্য আক্রমণ করতে ছাড়েননি
প্রাক্তন ক্রিকেটার সিধুকেও।