কলকাতা: ফের সেই পরিচিত ভূমিকায় রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। অভিনয় নয়, রাজনৈতিক প্রচারও নয়। ফেসবুকের ওয়ালে ফের সাদায় কালোয় ভেসে উঠল রুদ্রনীলের রাজনৈতিক রঙে মোড়া কবিতা 'অনুমাধব'। কবিতার ধাঁচ শুনে মনে পড়তেই পারে জয় গোস্বামীর লেখা 'মালতীলতা বালিকা বিদ্যালয়' কবিতাটি। তবে এই কবিতাটা প্রেমের নয়, একেবারে রাজনৈতিক রঙের কবিতা। কবির নাম বলার সময় তিনি বিদ্রুপ করে বলেছেন, 'ভয় গোস্বামী'।


 


'অনুমাধব' ও রুদ্রনীল


কেন? কবিতায় যে 'অনুমাধব'-এর কথা বলা হয়েছে, তিনি যে রাজনৈতিক নেতা তা স্পষ্ট। গরুপাচার থেকে শুরু করে কয়লা নিয়ে দুর্নীতি, সবই উঠে এসেছে রুদ্রনীলের কবিতায়। কেবল একজন নেতাই নয়, রুদ্রনীলের কবিতায় উঠে এসেছে 'ঘোষবাবু' ও 'দিদি'-র কথাও। নিজাম প্যালেস, সিবিআই থেকে শুরু করে চেহারার বর্ণনা, নাম না করে মানুষের মনে একজন রাজনৈতিক নেতার ছবি সার্থকভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন রুদ্রনীল। স্পষ্টত, নাম না করেই বিরোধি শিবিরের ক্ষমতায় থাকা নেতা নেত্রীদের বিঁধেছেন তিনি। অভিনেতা কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নেটদুনিয়ায়। 


ভোটের আগে ফুলবদল করেছিলেন তিনি। আর তার পর থেকেই বড় বড় পরিচালক এবং প্রযোজকদের দরজা তাঁর সামনে জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ তুললেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে পর থেকে গত ১৬ মাস ধরে মূল ধারার পরিচালক, প্রযোজকরা কেউ তাঁকে কাজ দিতে পারছেন না। ভোটের আগে যাঁরা বিজেপি-তে এসেছিলেন, তাঁদেরও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তাতে লড়াই করতে না পেরে অনেকে আবার শাসক শিবিরে ফিরে গিয়েছেন। তিনি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে চলেছেন। কিন্তু পরিচিত এবং ঘনিষ্ঠরাও তাঁকে কাজ দিতে ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি রুদ্রনীলের।


আরও পড়ুন: শেষবারের মত নায়কের ভূমিকায় অভিষেক, সঙ্গে সোমা, কণীনিকা


 


ঠিক যে যে অভিযোগ করেছিলেন রুদ্রনীল


রবিবার বিজেপি-র (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে দেখা করেন রুদ্রনীল। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না পাওয়া নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান। সেখান থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অভিনেতা। বলেন, এক সময় পরিচালক-প্রযোজকদের অন্যতম পছন্দের অভিনেতা ছিলাম আমি। আজও মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছি। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে আজ প্রায় ১৬ মাস হয়ে গেল, মূলধারার পরিচিত পরিচালক-প্রযোজকরা আমাকে ছবিতে নিতে পারেন না।রাজনীতি তো আমার পেশা নয়, অভিনয়ই ভালবাসা এবং পেশা। কিন্তু পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছি আমি। যাঁরা বিজেপি-তে এসেছিলেন, লড়াই করতে না পেরে অনেকেই ফিরে গিয়েছেন শাসক শিবিরে। সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেক কথাই বলা যায় না। তাই শাসকদল (TMC) ঘনিষ্ঠ শিল্পী-বুদ্ধিজীবীরাও রামপুরহাট, আনিসকাণ্ড নিয়ে চুপ থাকেন।‘’


">