কলকাতা: টেবিলে রাখা পেয়ারা, আপেল, শাঁকালু, জামরুল, বেদানা, মুসাম্বি-সহ একাধিক ফল। সামনের ছোট্ট কার্ডে লেখা, 'শুভেচ্ছাবার্তা। অরাজনৈতিক কারণে ফল পাঠালাম। দয়া করে সেরে উঠে ধার মিটিয়ে দেবেন। ইতি দোকানদার।' সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি শেয়ার করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) স্বয়ং। ক্যাপশানে লিখেছেন, 'চিন্তার বিষয়'
করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে ঝুড়ি ভরা ফল ও মিষ্টি পাঠিয়ে সুস্থতা কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই ফলের ঝুড়ি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পৌঁছে গিয়েছে বেশ কিছু সাংবাদিকের বাড়িতেও। তবে কী সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ফল পাঠানোকেই এইভাবে বিঁধলেন রুদ্রনীল? সবটাই কি অভিনেতার মস্তিষ্কপ্রসূত নাকি সত্যিই তাঁকে ফল পাঠিয়েছিল কোনও এক বেনামি 'দোকানদার'? অরাজনৈতিক লেখার মধ্যেও যেন লুকিয়ে আছে রাজনীতির ছোঁয়া। তবে অভিনেতা স্পষ্ট, এই ফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নয়।
করোনাকালে স্বাভাবিক শৈশব হারাচ্ছে ইউভান, 'সব সেরে উঠবে' ভরসা রাজের
সদ্য জন্মদিন গিয়েছে রুদ্রনীলের। জন্মদিনের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে দেখা গিয়েছিল, নিজের বাড়ির ব্যালকনিতে বসে রয়েছেন তিনি। তাঁর হাতের ওপর বসে রয়েছে একটি পায়রা। খাবার নিয়ে রুদ্রনীল নিজের ঠোঁটে ধরছেন, আর সেখান থেকেই খাবার টেনে নিচ্ছে পায়রাটি। নিজের হাতে করেও তাঁকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন রুদ্রনীল। ভিডিওতে অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল, 'হ্যাপি বার্থডে টু মি। এই জন্মদিনটা কোভিড স্পেশাল জন্মদিন। বন্ধুবান্ধব নেই। একজন বন্ধুই এসেছে যার সঙ্গে খাওয়াদাওয়া চলছে। আগে এই দিনটায় বন্ধুবান্ধব আসত, ঘরে গিটার বাজত। এখন গিটারের জায়গায় প্যারাসিটামল, কাফ সিরাপ আর থার্মোমিটার আছে। সবাই সুস্থ থাকবেন, মাস্ক ব্যবহার করবেন। যাঁরা আমার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাইকে ধন্য়বাদ। আমার সমস্ত শুভাকাঙ্খী যাঁরা আমার অসুস্থতার খবর শুনে আমার খোঁজ নিয়েছেন তাঁদেরও ধন্যবাদ। হয়ত এই দিল দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন মানুষের ভালোবাসা।'
জন্মদিনে রুদ্রনীলের বিয়ের গুঞ্জনে সরগরম হয়েছিল নেটপাড়া। সকালেই একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পরিচালক রানা সরকার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুদ্রনীল বলছেন, 'এই সেপ্টেম্বরেই বিয়ে করব।' রানার এই ভিডিওতে মজার কমেন্ট করেছেন টলিউডের একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী। অন্যদিকে, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রাজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে একসঙ্গে বসে গল্প করছেন রুদ্রনীল, রাজ চক্রবর্তীর মা, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, ও খোদ বিধায়ক। রুদ্রনীল রাজের মাকে জড়িয়ে ধরে আদর করছেন। রাজের মা পরম স্নেহে বলছেন, 'সবাই বিয়ে করছে, এর এখনও বিয়ে দিতে পারলি না। তারপর রাজকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, 'তুই তো নেতা, এর জন্য একটা মেয়ে খুঁজে দিতে পারলি না!' হাসতে হাসতে রুদ্রনীল বলছেন, 'ওর বিধানসভা এলাকা থেকে মেয়ে খুঁজে আনবে নাকি!' ক্যাপশানেও রাজ রুদ্রনীলের বিয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন।