কলকাতা: এবার টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় থ্রেট কালচার! সিলেকশনের বদলে ইলেকশন চাওয়ায় কেশসজ্জা শিল্পীর কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হেয়ার ড্রেসার গিল্ড ও ফেডারেশনের বিরুদ্ধে। একের পর এক কাজ হাতছাড়া হওয়ায়, দেনায় জর্জরিত হয়ে গতকাল বাড়িতেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই হেয়ার ড্রেসার, এমনই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। মেয়ের তৎপরতায় তিনি রক্ষা পান। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিজের অবস্থার জানিয়েছিলেন ওই হেয়ার ড্রেসার।
এই ঘটনায় গিল্ডের ১১ জনের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে হেয়ার ড্রেসারের পরিবার। সম্প্রতি ফেডারেশনের সঙ্গে পরিচালকদের দ্বন্দ্ব মেটাতে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিচালকরা দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কাউকে সাসপেন্ড বা বয়কট করা যাবে না। তারপরেও ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় সরব হয়েছেন টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ার অভিনেতা-পরিচালকদের একাংশ। ইলেকশন চাওয়ায় প্রথমে সাসপেন্ড, পরে একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। অভিযোগ হেয়ার ড্রেসারের সহকর্মী আরেক হেয়ার ড্রেসার চন্দ্রা মিত্রর। হাসপাতালে যে থ্রেট কালচারের কথা শোনা যাচ্ছে, তার থেকে বেশি হুমকি-হুঁশিয়ারি চলে স্টুডিও পাড়ায়, দাবি অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর। সাসপেন্ড করা বেআইনি, এভাবে কারও কাজ কেড়ে নেওয়া যায় না, প্রতিক্রিয়া পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের।
আজ এই প্রসঙ্গে অভিনেতা রুদ্রনীল সেনগুপ্ত বলছেন, 'টলিউডে বিগত ৫-৬ বছর ধরে থ্রেড কালচার অপরিসীমভাবে বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ না পেয়ে পেয়ে গতকাল আমাদের এক হেয়ার ড্রেসার দিদি অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর পরিবার হরিদেবপুর থানা, রিজেন্ট পার্ক থানায় দৌড়দৌড়ি করে বেড়াচ্ছে। পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা করছে। এফআইআর নেওয়া হয়নি। মাথায় রাখবেন টলিউডেও একজন সন্দীপ ঘোষ রয়েছেন। তাদেরই নির্দেশে কোনও যোগ্য টেকনিশিয়ান কাজ পান না। পরিচালকেরা যে টেকনিশিয়ানদের নাম দেন, সেই নাম চলে যায় ফেডারেশনের কাছে। এই টেকনিশিয়ান গিল্ডের যে মাথা, সেখানেই সন্দীপ ঘোষের মতো লোকেরা বসে রয়েছেন। যেমন টলিউডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে সন্দীপ ঘোষ বসেছিলেন, তেমনই টলিউডের সন্দীপ ঘোষেদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসলেও, টলিউডের হাজার ক্ষতির পরেও সম্মানীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সরান না। এই সন্দীপ ঘোষেরাই ঠিক করে দেন, মাসে মাসে কে কতগুলো কাজ করবেন। যাঁরা তাঁদের অন্যায় দেখেও চুপ করে থাকেন, তাঁরাই কাজ পান। পরিচালকেরা চাইলেও সেই সমস্ত টেকনিশিয়ানদের কাজ দেওয়া হয় না। তালিবানি শাসন চালিয়ে কিছু মানুষকে বেশি বেশি কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়। বহু মানুষের নাম বাদ দিয়ে তাঁদের পাতে-ভাতে মেরে দেওয়া হয়। অনেকের মতো যার শিকার হয়েছিলেন আমাদের এই হেয়ার ড্রেসার।
আরও পড়ুন: Shraddha Kapoor: 'স্ত্রী ২'-র সাফল্যের মাঝেই পরিবারে এল 'খুদে সদস্য', সুখবর দিলেন শ্রদ্ধা কপূর
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।