কলকাতা: সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়ছে শুভেচ্ছাবার্তা। কেবল হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের উত্তর দিতে গিয়েই কখনও কখনও ভুল হয়ে যাচ্ছে চ্যাটবক্স। তবে ক্লান্তি বা বিরক্তি কোনোটাই নেই তাঁর। কারণ এই জন্মদিনের দিনটায় মনে হয়, এত মানুষের ভালোবাসা যেন আশীর্বাদের মতো। তাঁদের জন্যই আজ তিনি রূপম ইসলাম (Rupam Islam)।
রূপম ইসলামের জন্মদিন মানেই অন্যরকম ছোঁয়া। প্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে দুটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। আর নিজের আজকের দিনটা কেমন করে কাটাচ্ছেন রূপম? সঙ্গীতশিল্পীকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছিল এবিপি লাইভ। শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসলেও প্রত্যেক শুভেচ্ছাবার্তার উত্তরেই সমান উষ্ণ আর আন্তরিক রূপম। কেমন করে আজকের বিশেষ দিনটা কাটাচ্ছেন শিল্পী? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে রূপম বললেন, 'আমার স্টুডিওতে আমার কিছু অনুরাগীরা এসেছিলেন। সবার সঙ্গে কেক কেটেছি। আর সন্ধেতে কিছু বন্ধুরা আসবেন, সবার সঙ্গে গান বাজনা, গল্প হবে।'
জন্মদিন মানেই বিশেষ কিছু। এত বছরে সবচেয়ে বিশেষ জন্মদিন হিসেবে কোন বছরটা বেছে নিতে চাইবেন রূপম? একরাশ হাসি গলায় মিলিয়ে সঙ্গীতশিল্পীর রসিক উত্তর, 'যে বছর আমি জন্মেছিলাম। আমার মনে হয় না তার চেয়ে বিশেষ আর কোনও দিন হতে পারে।' আর সবচেয়ে বিশেষ উপহার? রূপম বললেন, 'জন্মদিন না বিবাহবার্ষিকী মনে নেই, তবে আমার স্ত্রী আমায় দুটো অন্যতম পছন্দের উপহার দিয়েছিলেন ২ বছর। একটা হল সিন্থেসাইজর, যেটা আমি এখন বাজাই। আরেকটা হল হীরক রাজার দেশের এলপি। রেকর্ড প্লেয়ারের খুব শখ আমার। হীরক রাজার দেশের এলপিটা আমার হারিয়ে গিয়েছিল। রূপসা আমায় নতুন করে একটা এনে দিয়েছিল। ওই দুটো উপহার মনে রাখার মত।'
থামলেন না রূপম। একটু ভেবে বললেন, 'প্রতি জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী আমায় উপহার আর মিষ্টি পাঠান। এরমধ্যে কোনও রাজনীতি নেই, কেবল সৌজন্য। আমি যতদূর জানি প্রত্যেক শিল্পীর বাড়িতেই তাঁদের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা আর মিষ্টি পৌঁছে যায়। উনি যে পদে আছেন, সেই জায়গা থেকে আমার জন্মদিন মনে রেখে উপহার পাঠানোটা সত্যিই খুব বড় বলে মনে হয় আমার কাছে। আমি ব্যক্তিগত কারণে ভোট দিই না। ছোটবেলার কিছু খারাপ স্মৃতির জন্য কোনও নির্বাচনেই আমি অংশ নিই না। কোনওরকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রীর এই সৌজন্যবোধ আমায় মুগ্ধ করে। আমায় প্রত্যেক বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) শুভেচ্ছা জানান। এতগুলো বছর ধরে কখনও ভুল হয় না ওনার। এইসব বড় বড় মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে নিজেকে ধন্য বলে মনে হয়। আর মনে হয়, মা-বাবা থাকলে এগুলো দেখতে পেতেন। নিশ্চয়ই গর্ব হত।'
কেবল গায়ক নয়, মুক্তি পাচ্ছে রূপমের লেখা নতুন বই 'অনামিকা বলে ডাকতে পারি কি তোমায়?' ফোন ছাড়ার আগে সঙ্গীতশিল্পীর ছোট্ট অনুরোধ, 'পড়ে জানাবেন কেমন লাগল। লেখক রূপম তাহলে আরও উন্নতি করতে পারবে।'