কলকাতা: একটি ফেসবুক লাইভ এবং সেটাকে ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্ক। কিন্তু সেই বিতর্কে কার্যত ঘি ঢালল একটা মৃত্যু। এক বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীর। 'কে কে'। ৩১ তারিখ কলকাতায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান, তারপরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু 'কে কে'-র। তারপরেই কার্যত ভাইরাল হয়ে গেল একটা ফেসবুক ক্লিপিংস, 'কে কে, কে কে, কে কে... হু ইজ কে ম্যান'। বক্তা রূপঙ্কর বাগচি (Rupankar Bagchi)।


২ দিন দুটো অনুষ্ঠান ছিল কলকাতায়। ৩০ ও ৩১। শেষদিন স্যার গুরুদাস কলেজের ফেস্টে গান গাওয়ার কথা ছিল কে কে-র। গেয়েওছিলেন তিনি। কিন্তু গান গাইতে গাইতে অস্বস্তি শুরু হয় কে কে-র (K K)। এসি কাজ করছিল না, প্রচণ্ড গরমে ঘামতে থাকেন কে কে। অসুস্থ হয়ে পড়েন হোটেলে ফিরতে ফিরতেই। নিজের ঘরে পৌঁছেই পড়ে যান কে কে। তারপরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই সব শেষ। চিকিৎসকেরা জানান, হাতপাতালে আসার পথেই মারা গিয়েছেন তিনি। 


এরপর আকস্মিকভাবেই রূপঙ্কর বাগচীর ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন জনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কে-র মৃত্যুর জন্য কার্যত কাঠগড়ায় তোলা হয় রূপঙ্করকেই। কুৎসা, ক্ষোভ বিক্ষোভ, রূপঙ্করের ফোন বন্ধ বলে তাঁর স্ত্রীর কাছে পৌঁছয় হুমকি ফোন। বাড়ির বাইরে পুলিশ পাহারা রাখতে হয় সঙ্গীতশিল্পীকে। অনুরাগী থেকে সহকর্মী, রূপঙ্করের থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন অনেকেই। এরপর আজ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে কে কে-কে নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান সঙ্গীতশিল্পী।


আরও পড়ুন: K K Rupankar Controversy: 'কে কে-র প্রতি বিদ্বেষ নেই, গুছিয়ে ঠিক বক্তব্য বলতে না পারায় এত বিতর্ক’ সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন রূপঙ্কর


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে গিয়ে অনুরোধ করেন, সেই সংস্থার জিঙ্গল বয়কট করার। কেন? ওই কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার জনপ্রিয় জিঙ্গলটি গেয়েছিলেন রূপঙ্কর। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কোম্পানি বিবৃতি দিয়ে জানায়, খুব তাড়াতাড়ি ওই জিঙ্গল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কোম্পানি। কারণ তারা কখনোই রূপঙ্করের বক্তব্যেক সমর্থন করেন না। 




সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই স্ক্রিনশট। সংস্থার তরফে লিখিত ভাবে জানানো হয়, ‘গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্যে আমরা দুঃখিত। রূপঙ্কর বাগচী যা বলেছেন, তার সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করি না। ক্রেতাদের অনুভূতিকে মাথায় রেখে ব্র্যান্ড জিঙ্গল নিয়ে আমরা যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেব।’