সিঙ্গুর: সিঙ্গুর সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিতর্কের মাঝেই সিঙ্গুর থেকে ভার্চুয়ালি কামারকুণ্ডুর রেল ওভারব্রিজ উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সিঙ্গুরে গিয়ে তার আগে বাজেমেলিয়ায় সন্তোষী মা’র মন্দিরে পুজো দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দেওয়ার পর স্থানীয় স্কুল পড়ুয়াদের খাবার পরিবেশন করেন। তুলে দেন উপহারও। গতকালই ভবানীপুরে কাঁসারি পাড়ায় একটি শীতলা পুজোর অনুষ্ঠানে এদিন সিঙ্গুরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো এদিন পৌঁছে যান সিঙ্গুরে। 


ব্রিজ উদ্বোধন:
কামারকুন্ডু রেল ওভারব্রিজের উদ্বোধন নিয়ে কাল রাতেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। রাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ওই ওভারব্রিজের উদ্বোধনে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে দাবি করে হুগলির ডিএমকে চিঠি দিয়েছিল রেল। উদ্বোধনের দিন বদলে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিল ছিল।  তাদের দাবি ছিল, এটি যৌথ উদ্যোগে তৈরি প্রকল্প। সেটি কেন একা মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন? রেলের তরফে এমনই প্রশ্ন তুলেই হুগলির জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিল রেল। যদিও এদিন পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই ব্রিজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। 


সিঙ্গুর আন্দোলনে স্মৃতিচারণ:
এদিন সেখানে বক্তব্য রাখতে দিয়ে সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গও তুলে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন 'সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় আমাদের মারতে মারতে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। সবাই দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতেছিলেন, কিন্তু আমার তখন রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সিঙ্গুরের মানুষ আমাদের খেতে দিতেন।' 


বৃহস্পতিবার ভবানীপুরেই সিঙ্গরে যাওয়ার কারণ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, 'সিঙ্গুরের আন্দোলন শুরুর সময় সন্তোষী মায়ের কাছে মানত করেছিলাম। বলেছিলাম সিঙ্গুর আন্দোলনে জয় পেলে সন্তোষী মায়ের মন্দির করব। ১৬ সপ্তাহ আগে ব্রত রেখেছিলাম, বলেছিলাম সিঙ্গুর গিয়ে সন্তোষী মাকে পুজো দেব।' সেই কাজেই এ দিন সিঙ্গুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সভা থেকে মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।   


আরও পড়ুন: ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, চাকরির দাবি; মমতাকে চিঠি জঙ্গলমহলে নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রীর