কলকাতা: বছরের শুরুতেই তাঁর ওপর হামলা হয়েছিল। আর সেই কারণেই কি এবার ভারত ছাড়ছেন সেফ আলি খান (Saif Ali Khan)? তাঁরা কি সংসার পাততে চলেছেন মধ্যপ্রাচ্যে? কাতারের দোহায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন সেফ আলি খান ও করিনা কপূর খান (Kareena Kapoor Khan)। এর আগে মুম্বইয়ের বিলাসবহুল আবাসনেই থাকতেন তাঁরা। এর বাইরে পৈত্রিক বাড়ি ছাড়া তাঁদের আর বাড়ি ছিল না। তবে এবার দোহার সেন্ট রেগিস মারসা আরবিয়া দ্বীপে নিজেদের জন্য একটা বাড়ি কিনেছেন সেফ। সদ্য একটি সাক্ষাৎকারে সেফ বলেছিলেন যে তিনি এমন একটা জায়গা খুঁজছিলেন যেটা ভারতের থেকে বেশি দূরে হবে না, আবার একইসঙ্গে বিলাসবহুল ও হবে। সেই সঙ্গে সেই জায়গাটায় থাকবে নিরাপত্তাও। সেফের কথায়, 'এখানে বাড়ি কেনার আগে কয়েকটা বিষয় মাথায় কাজ করছিল। যাতে জায়গাটা নিরাপদ হয়। ওখানে গিয়ে সুরক্ষিত মনে হয়েছে। একটা দ্বীপের মধ্যে একটা দ্বীপ তৈরি করে থাকার জায়গা, এই চিন্তাটাই দারুণ লেগেছিল। এবং থাকার জন্য খুবই ভাল। ওখানকার খাওয়া-দাওয়া জীবনযাত্রার মধ্যে একটি নিশ্চিন্তি রয়েছে।' এই সমস্ত কারণ মাথায় রেখেই দোহা জায়গাটাকে বেছেছেন সেফ।

মুম্বই পুলিশ সদ্যই জানিয়েছে, ফেসিয়াল রেকগনিশন টেকনোলজি ব্যবহার করে জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তি ১৬ জানুয়ারি শেষ রাতে সেফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকেছিল, সে শরিফুলই। ফেসিয়াল রেকগনিশন টেকনোলজি ব্য়বহার করে এই তথ্যই উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বান্দ্রার ওই হাই-প্রোফাইল বিল্ডিংয়ে ডাকাতির উদ্দেশেই ঢুকেছিল সে। অজান্তেই ঢুকে পড়ে সেফ আলি খানের বাড়িতে। আর সেখানেই সে লুকিয়েছিল সেফের ছোট ছেলে জেহ-র শৌচাগারে। তারপরেই সেফের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তার। আহত সেফ পড়ে গেলে পালিয়ে যায় শরিফুল। এরপরে ৩দিন পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অন্য়দিকে, সেফ আলি খান বা করিনা, বাড়ি থেকে বেরলেই ক্যামেরাবন্দি হন। বাড়ির দুই খুদে, অর্থাৎ তৈমুর ও জেহ-ও মোটামুটি পরিচিত হয়ে গিয়েছে এই ধারার সঙ্গে। ক্যামেরা দেখলেই তারা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। তৈমুর ও জেহ-র সেই সমস্ত মিষ্টি মুহূর্তও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে সেই সব আর কোনোদিন দেখা যাবে কি না সন্দেহ। কারণ সেফ ও করিনা ছবিশিকারীদের অনুরোধ করেছেন, এবার থেকে তৈমুর ও জেহ বাড়ি থেকে বেরোলেই ছবি না তোলার জন্য। শুধু তাই নয়, করিনা ও সেফ আর্জি জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির দিকে ক্যামেরা তাক করে থাকা যেন বন্ধ হয়। তাঁরা কোনও অনুষ্ঠানে গেলে সেখানে ছবি তোলা হলে কোনও আপত্তি নেই। তবে তাঁদের রোজনামচা যত কম ক্যামেরাবন্দি করা যায় ততই ভাল।