লখনউ: এই মাঠ তাঁর পরিচিত, প্রতিপক্ষও তাঁর চেনা। এক মরশুম আগে পর্যন্ত যে মঙ্গলবারের প্রতিপক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কথা হচ্ছে কেএল রাহুলের (KL Rahul) বিষয়ে। গত মরশুম পর্যন্ত তাঁর তদারকিতেই যে দল জয়ের স্বপ্ন বুঁনতো, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল তাদেরই হারানোর উদ্দেশ্যে নেমেছিলেন রাহুল। সেই লক্ষ্যে যে তিনি সফল হয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।
গত মরশুমে যে দলের অধিনায়ক ছিলেন, সেই লখনউ মেগা নিলামের আগে কেএল রাহুলকে রিটেন করেনি। অনেকের মতে গত বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হারের পর মাঠেই এক অপ্রীতিকর ঘটনার পরেই রাহুল নিজেই রিটেন হতে চাননি। কী ঘটেছিল সেবার? জয়ের স্থানে থাকলেও হায়দরাবাদের কাছে হারের পর রাহুলকে মাঠের মাঝেই লখনউ কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার (Sanjiv Goenka) সঙ্গে কথোপকথন করতে দেখা যায়। ঠিক কী কথা হচ্ছিল না জানা গেলেও, হাবভাব থেকেই মনে হচ্ছিল অধিনায়ককে প্রকাশ্যে তিরষ্কার করছিলেন দলের মালিক। এই ঘটনায় চারিদিকে রে রে পড়ে যায়। প্রবল সমালোচিত হন গোয়েঙ্কা। রাহুল কিন্তু গোটা বিষয়ই চুপই ছিলেন। মনে হয় অপেক্ষা করছিলেন জবাবটা মাঠে দেওয়ার। সেই সুযোগও এল।
দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎকারের সময় সন্তানসম্ভবা রাহুল ছিলেন না। সেই ম্য়াচে মাঠে নামেননি তিনি। আজ নেমেছিলেন। ঠিক যে মাঠে তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছিল, সেই মাঠেই জবাব দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন হয়তো তিনি। ম্যাচ শেষে বলাই বাহুল্য যে রাহুল ব্যাটে এবং ব্যবহারে সেই অপমানের জবাব দিলেন। লখনউ-দিল্লি ম্য়াচ শেষে এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যা দেখেই এই পরিণতি পৌঁছেছেন অনেকে।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে এদিন ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে উইনিং শটটাও তাঁর ব্যাট থেকেই আসে। ম্যাচ শেষে প্রতি ম্যাচের মতো এই ম্য়াচেও সৌজন্য় বিনিময় করতে মাঠে নামেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তিনি এগিয়ে গিয়ে রাহুলের সঙ্গে করমর্দন করেন। তারপরে কিছু বলারও চেষ্টা করছিলেন বটে। তবে রাহুল কোনওক্রমে করমর্দন সারলেও কার্যত সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যান। এই ঘটনাই নেটিজেনদের নজর কেড়ে নিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন রাহুল এর মাধ্যমেই নিজের প্রতি হওয়া অপমানের যোগ্য জবাব দিলেন।