FIITJEE: সারা দেশের বেশ কিছু জায়গায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেল ফিটজির কোচিং সেন্টার। পরপর সেন্টারে ঝুলল তালা। বিপাকে হাজার হাজার পড়ুয়া, অভিভাবক। হঠাৎ সেন্টার বন্ধের জেরে সেন্টারের বাইরে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদ (FIITJEE) জানান পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এই মর্মে ফিটজির পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থার মালিক সহ আরও ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবারে দিল্লি এনসিআরে এই সংস্থার কোচিং সেন্টার (FIITJEE Coaching Centre) বন্ধ হওয়ার পরেই এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে সংস্থা হঠাৎ সেন্টার বন্ধের কারণ জানিয়েছে।


নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে, অভিভাবকদের করা এফআইআর মেনে ফিটজি প্রধান ডিকে গোয়েল, সিএফও রাজীব বব্বর, চিফ অপারেটিং অফিসার মণীষ আনন্দ এবং গ্রেটার নয়ডার ব্রাঞ্চ হেড রমেশ বতলেশকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ফিটজি সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, 'নিজের সিদ্ধান্তে ফিটজি তার কোনো কোচিং সেন্টার বন্ধ করেনি। সেন্টারগুলির ম্যানেজিং পার্টনার, পুরো টিমের সদস্যরা সেই কোচিং সেন্টার ছেড়ে হঠাৎ করেই চলে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বেশ কিছু সেন্টার। প্রতিষ্ঠানের এই বর্তমান টানাপোড়েন ক্ষণস্থায়ী। সংস্থার আধিকারিকরা স্থিতাবস্থা আনার জন্য যারপরনাই চেষ্টা করছেন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে'।


ফিটজির মত অনুসারে, ম্যানেজিং পার্টনারদের নিয়মিত একটি বেতন দেওয়া হয়, আর একইসঙ্গে তারা সংস্থার মুনাফার অংশও পান। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ম্যানেজিং পার্টনারদের গোলযোগ এবং অপচয়ের কারণে সংস্থার আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সংস্থার গ্রুপ চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার আগে থেকেই জানিয়েছিলেন যে ৬ মাসের মধ্যে সংস্থার হাতে অপারেশনাল কস্ট বাবদ টাকা থাকবে না। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্থার পক্ষ থেকে কোর গ্রুপ এবং ম্যানেজিং পার্টনারদের বলা হয় সংস্থায় নিযুক্ত বাড়তি কর্মীদের ছাঁটাই করতে, ওয়ার্ক কালচার আরও উন্নত করে তুলতে এবং আর্থিক অবনতির অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্ট্রাটেজি জানানো হয় যাতে কোনো ক্ষতি না করেই সমস্ত সেন্টারগুলি সঠিকভাবে চালানো সম্ভব হয়।


শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে বেশ কয়েক মাস যাবত বেতন না পাওয়ার কারণে নয়ডা, মীরাট, গাজিয়াবাদ, লক্ষ্ণৌ, বারাণসীর ফিটজি সেন্টারগুলি থেকে একের পর এক শিক্ষক পদত্যাগ করেন। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫০০ ছাত্র-ছাত্রী। সংস্থার ভরসাতেই ছিল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। অন্যদিকে নয়ডার ফিটজি সেন্টার থেকে পদত্যাগ করা শিক্ষকরা যোগ দিয়েছেন আকাশ ইনস্টিটিউট এবং শ্রী চৈতন্য ইন্সটিটিউটে। দুই সংস্থার পক্ষ থেকে এই তথ্যে স্বীকৃতি জানানো হয়েছে। প্রতিযোগী সংস্থার অনৈতিক ব্যবসায়িক পন্থার বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে মামলা করার কথাও জানিয়েছে ফিটজি।


আরও পড়ুন: আইফোনে সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে পরপর অভিযোগ, অ্যাপলকে কড়া নোটিশ পাঠাল কেন্দ্র


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI