যোধপুর: কৃষ্ণসার হরিণ ও চিঙ্কারা হত্যা মামলায় অভিনেতা সলমন খানকে মুক্তি দিল রাজস্থান হাইকোর্ট। ১৯৯৮-এ যোধপুরে, দুটি আলাদা ঘটনায় সলমনের বিরুদ্ধে একটি কৃষ্ণসার ও একটি চিঙ্কারা হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দুটি চোরাশিকারের ঘটনায় ১ ও ৫ বছর জেলের সাজা দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান সলমন। মে মাসের মধ্যে হাইকোর্টে শুনানি সম্পূর্ণ হলেও তারা এতদিন রায়দান স্থগিত রেখেছিল। সোমবার সকালে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে হাইকোর্ট বলে, ওই হরিণদের যে সলমনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকেই গুলি করা হয়, তার কোনও প্রমাণ নেই। তাই দুটি অভিযোগ থেকেই মুক্ত তিনি। ফলে সলমন তো বটেই, তাঁর অগণিত ভক্ত ও বলিউডে এখন খুশির ছায়া।
যে জিপে করে সলমন ও তাঁর সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জঙ্গলে গিয়েছিলেন, সেই জিপের চালকও উধাও হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলার জোর অনেকটাই কমে যায়। এখন রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে কিনা। ২০০৭-এ এই মামলায় সলমন যোধপুরে এক সপ্তাহ জেলও খেটেছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে এই রাজস্থানেই আরও একটি চোরাশিকারের মামলা চলছে।
‘৯৮-এর ২৬ সেপ্টেম্বর যোধপুরের বাইরে ভাওয়াদ এলাকায় সলমনের বিরুদ্ধে একটি হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে। সে সময় তিনি ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে যোধপুর গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় শিকারের অভিযোগ ওঠে, তার দু’দিন পর, গোধা ফার্ম এলাকায়।