মুম্বই: বেশ কয়েক বছর আগে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের পর থেকে বিষ্ণোই উপজাতির বিষ নজরে পড়েন সলমন খান। বহু বছর আগেকার সেই ঘটনার জের এখনও পিছু ছাড়ছে না সলমনকে। পুলিশের কাছে খবর ছিল যে বিষ্ণোই গোষ্ঠীর গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই তাঁকে খুনের চেষ্টায় আছে৷ প্ল্যান চলছিল অনেকদিন ধরে৷ সলমনের বান্দ্রার বাড়ির ওপর চলছিল নিয়মিত নজরদারি৷ কখন তিনি বেরন, কোথায় কোথায় যান, সবই লক্ষ্য রাখা হত৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুষ্কৃতীরা৷
পুলিশ জানতে পারে জানুয়ারির গোড়া থেকেই সলমনের গতিবিধি মাপতে শুরু করে রাহুল নামের এক শার্প শ্যুটার৷ তাকে গ্রেফতারের পর জেরা করে জানতে পেরেছে হরিয়ানা পুলিশ।
ডিসিপি হেডকোয়ার্টার রাজেশ দুগ্গল জানিয়েছেন, গত ১৫ অগাস্ট রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়৷ ভিওয়ানির বাসিন্দা রাহুলের পুরো নাম রাহুল সংঘ৷সে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হয়ে কাজ করত৷ লরেন্স রয়েছে যোধপুর জেলে৷ সেখান থেকেই সলমনকে খুনের পরিকল্পনা করে সে৷ কাজে লাগায় রাহুলকে।
রাহুলের সঙ্গে তার চারজন শাগরেদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে৷ রাহুলের বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি খুনের অভিযোগ। সরকারি রেশন দোকানের এক মালিককেও কিছুদিন আগে খুন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ একবার পুলিশের হাত থেকে এক গ্যাংস্টারকে পালাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় সে৷ তার থেকে পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ যা সে সবসময় তার সঙ্গে রাখত,সুযোগ পেলেই সলমনকে মেরে দেওয়ার জন্য।
কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের পর থেকেই লরেন্সের কু-নজরে পড়েন সল্লু মিঁঞা৷ বিষ্ণোই উপজাতির মানুষ এই বিরল প্রজাতির হরিণকে পূজা করে এবং একে রক্ষার জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত। সেই হরিণকে গুলি করে মেরেই লরেন্সের টার্গেট হয়ে যান সলমন৷