মুম্বই : সলমন খানের (Salman Khan) কেরিয়ারে নিঃসন্দেহে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া' ছবিটি। পরিচালক সুরজ বরজাতিয়ার যে ছবিতে প্রেম এবং সুমনের মিষ্টি প্রেমের গল্প দেখেছেন লক্ষ লক্ষ দর্শক। যেখানে বড়লোকের ছেলে প্রেমের সঙ্গে দেখা হয় গরিব ঘরের মেয়ে সুমনের সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই সুমনের প্রেমে পড়ে যায় সে। সলমন খান এবং ভাগ্যশ্রী অভিনীত ছবি 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া' শুধু দর্শকদেরই প্রশংসা অর্জন করেনি। দর্শকদের পাশাপাশি সমালোকদের থেকেই প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল। বক্স অফিস কালেকশনেও ১৯৮০-র সবথেকে বেশি ব্যবসা করা ছবি ছিল ম্যায়নে পেয়ার কিয়া। কিন্তু এই ছবিতে অভিনয় করার পরই কর্মহীন হয়ে পড়েন সলমন খান। একটি সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন এমনটাই।


আরও পড়ুন - বিয়ের দিন কী কাণ্ড করেছিলেন শ্রীরাম নেনে? কুড়ি বছর পর গোপন কথা ফাঁস করলেন মাধুরী দীক্ষিত


একটি সাক্ষাতকারে সলমন খান বলেন যে, 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ছবির পর চার পাঁচ মাস পর্যন্ত কোনও কাজ পাইনি। এমন মনে হচ্ছিল যে, আর কখনও কাজই পাবো না। কারণ, ভাগ্যশ্রী ম্যাডাম তো সেই সময় ঠিকই করে নিয়েছিলেন যে তিনি আর কাজ করবেন না। তিনি বিয়ে করবেন। আর ছবির পুরো ক্রেডিট নিয়ে ভাগ্যশ্রী বিয়ে করে ফেললেন। পুরো ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের মনে হয়েছিল, ছবি হিট করার পুরো কাজই ভাগ্যশ্রী করেছেন। আর আমি শুধুমাত্রই ওখানে অভিনয় করেছি।'


আরও পড়ুন - প্রথম দিনেই কত টাকার ব্যবসা করে ফেলল দিলজিৎ-শেহনাজের ছবি 'হসলা রাখ'?


এরপর সলমন খানের বাবা সেলিম খান প্রযোজন জিপি সিপ্পির সঙ্গে কথা বলেন। এবং তাঁর পরবর্তী ছবিতে সলমন খান কাজ করেন। সলমন খান পরবর্তীকালে একটি সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন যে, ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ছবির জন্য তিনি সেই সময়ে ৩১ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। আর ওই ছবি করার পর পরবর্তী ছবিতে তাঁর পারিশ্রমিক বেড়ে হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকা।