মুম্বই: সাধারণত ঢিলেঢালা ও রিল্যাক্স অ্যাটিটিউডের জন্যই পরিচিত সলমন খান। কিন্তু সুলতান সিনেমার শ্যুটিংয়ে সম্পূর্ণ এক ভিন্ন সল্লুকে দেখা গিয়েছিল। এই সিনেমার চরিত্র রূপায়ণের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস ছিলেন তিনি। এজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পিছপা হননি দবাং খান। এ কথা জানিয়েছেন সিনেমার পরিচালক আলি আব্বাস জাফর। তিনি বলেছেন, সলমন কোনওভাবেই হাল্কাভাবে কিছু নেননি। আক্ষরিক অর্থেই সলমন জানতেন যে, সুলতান সিনেমার চরিত্রটা এমন যে কোনওভাবেই প্রস্তুতিতে ঢিলে দেওয়া চলবে না। কারণ, এক্ষেত্রে তাঁকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌড়তে হয়েছে। কারণ, কুস্তিতে ওজন বাড়ে ও কমে। শারীরিক দিক থেকে সিনেমাটি ভীষণই চ্যালেঞ্জিং ছিল।
জিমে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে সলমনকে। কিন্তু এ জন্য কখনই কোনও বিরক্তি প্রকাশ করতে সলমনকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন জাফর। তিনি বলেছেন, যে দিনগুলোতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হত তখন সলমন বলতেন, আমি কি একটা আইসক্রিম খেতে পারি..যদিও ওই দিনগুলিতে চারটি আইসক্রিম খেয়ে নিতেন সলমন।
সুলতান সিনেমার জন্য শরীরের ওজনের বেশ ভালো রকম হেরফের করতে হয়েছে সলমনকে। জাফরের নির্দেশে ১০০ কেজি থেকে প্রথমে ওজন ৯০ কেজিতে নামিয়ে আনতে হয়। পরে তা আবার ৮২ কেজিতে নিয়ে আসতে হয়। পরিচালক বলেছেন, এই পঞ্চাশ বছর বয়সে ছয় থেকে আট মাস সময়ের মধ্যে এভাবে ওজন কমানোটা আদৌ সহজ নয়। এজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। যখন সেটে থাকতেন না তখনও সলমনকে দিনে চার ঘন্টা অনুশীলন করতে হয়েছে। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও সলমনের এই নিষ্ঠাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন পরিচালক।
সলমন তাঁর কেরিয়ারে এই প্রথম খেলাধূলোর কাহিনী নির্ভর কোনও সিনেমাতে অভিনয় করছেন। পর্দায় শরীর উন্মুক্ত করতে স্বচ্ছন্দ সলমনের এই সিনেমায় ল্যাঙ্গট পরতে হয়েছিল। জাফর জানিয়েছেন, প্রথম প্রথম তো ল্যাঙ্গট পরার ব্যাপারে কিছুটা লজ্জায় পড়েছিলেন সলমন।