কলকাতা: প্রয়াত 'গীতশ্রী' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার আগে পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পেয়েছিলেন। জানুয়ারির শেষ দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতলে (SSKM Hospital) ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আচমকাই জ্বর আসে শিল্পীর। সকালে জ্বর বাড়লে চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে পরীক্ষা করালে করোনা ধরা পড়ে গীতশ্রীর। তারপর থেকেই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তার। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আপাতত স্থিতিশীল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তবে শেষ রক্ষা হল না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি (Sandhya Mukhopadhyay Passes Away)।


সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে বিভিন্ন মহলে। বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মন ভারাক্রান্ত। তাই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্ট নয়, এক লাইনেই মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। তাঁর মন কতটা ভারাক্রান্ত, তা বোঝা যাচ্ছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় লেখেন, 'বিশ্বের সঙ্গীত জগতের স্বর্ণযুগের অবসান হল। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।'


আরও পড়ুন - Sandhya Mukhopadhyay Passes Away: 'একদিনে যে কী হয়ে গেল!' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকাহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়



সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ২৭ জানুয়ারিই এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে শিল্পীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এর পর সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে এসএসকেএম থেকে শিল্পীকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। শিল্পীর বাড়ির লোকজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাইলেও, শিল্পীর যেহেতু হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি মমতা। তবে শেষ রক্ষা হল না। গানের সঙ্গেই কেটে গেল তাঁর সারাটা জীবন। তাঁর গান যেন সন্ধ্যার মেঘমালা হয়েই চিরদিনের জন্য রয়ে গেল বাঙালির হৃদয়ে। গানে গানেই তো তিনি শুনিয়েছিলেন ..‘জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া।’ সুরের রাজপথে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় চিরকালের সাম্র্যাজ্ঞী। তাঁর গান অক্ষয়, অবিনশ্বর।