কলকাতা: যখন এই ছবির শ্যুটিং চলছে, তখন কোভিড আতঙ্ক রয়েছে পুরোদমে। রাত ১০টার পরে এলাকা শুনশান, নাইট কার্ফু। হিসেব করে তার আগে শ্যুটিং শেষ করতে হবে। রঞ্জন ঘোষ (Ranjan Ghosh) পরিচালিত 'মহিষাসুরমর্দিনী'-র শ্যুটিংয়ের সেই অজানা গল্প এবিপি লাইভকে (ABP Live)-কে শোনালেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)।                                                                                                                 


রঞ্জন ঘোষ (Ranjan Ghosh) পরিচালিত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta), শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) ও পরমব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) অভিনীত ছবি 'মহিষাসুরমর্দিনী' (Mahishasur Mardini) মুক্তি পাচ্ছে সামনেই। একাধিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ইতিমধ্য়েই সম্মানিত হয়েছে এই ছবি। একটা রাতের গল্প বলে এই ছবি, লোকেশনেও খুব একটা চমক নেই। কিন্তু ছবির শ্যুটিং বোধহয় অতটা সহজ ছিল না। শাশ্বত বলছেন, 'এই ছবির শ্যুটিং যখন চলছে, তখনও কোভিড আতঙ্ক কাটেনি। আমরা অভিনেতা অভিনেত্রীরা শ্যুটিংয়ে মাস্ক পরে থাকতে পারতাম না। মেকআপ হয়ে গেলে আর মাস্ক পরা যায় না। কিন্তু ইউনিটের সবাই সতর্কতা অবলম্বন করে চলত। চুঁচুড়াতে শ্যুটিং চলেছে আমাদের। ঠিক কখন শ্যুটিং শেষ করলে সবাই বাড়ি ফিরতে পারবেন নাইট কার্ফুর আগে, তা মাথায় রেখে কাজ করতে হত। কোভিডের বাড়তি সতর্কতা নিয়ে কাজ করাটা সবসময়েই মনে থাকবে।'                     


আরও পড়ুন: Tabassum Death: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তবসুম


টলিউড আর বলিউডে চুটিয়ে অভিনয় করছেন শাশ্বত। পরিচালনার কাজ হাতে গোনা। কখনও অন্য ভূমিকায় নিজেকে দেখতে ইচ্ছা করে না শাশ্বতর? অভিনেতা বলছেন, 'আমি এক আকাশের নীচে ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছিলাম ৯ মাস ধরে। একটি টেলিফিল্ম আর একটি এক সপ্তাহের সিরিজ পরিচালনা করেছিলাম একটি চ্যানেলের হয়ে। কিন্তু ছবি পরিচালনার জন্য পুরো সময়টা একটা ছবিকেই দিতে হয়। এখন অভিনেতা হিসেবে এতটাই ব্যস্ত যে পুরো সময় একটা ছবিকে দিয়ে, পরিচালনা করার মতো সময় আমার নেই।'                                             


অনেকেই ছবি পরিচালনা করেন ছবির টার্গেট অর্ডিয়েন্স ভেবে, ব্যবসায়িক দিকের কথা মাথায় রেখে। শাশ্বতর মতে, ছবির ব্যবসায়িক দিকেন কথা ভাবলে এই মুহূর্তে কোন কোন পদক্ষেপ টলিউডের নেওয়া উচিত? অভিনেতা বলছেন, 'প্রথম শর্ত হওয়া উচিত, যিনি টিকিট কেটে হলে সিনেমা দেখতে আসছেন, তাঁকে বিনোদন দিতে হবে। হাসি, কান্না, রাগ বা ইচ্ছাপূরণ.. যে কোনওভাবে মানুষকে বিনোদন দেওয়াই ছবির একমাত্র শর্ত হওয়া উচিত। তবে ছবির ব্যবসায়িক দিনটা সত্যিই খুব গোলমেলে। কেউ কখনও বলতে পারেন না তাঁর আগামী ছবিটা সাফল্য পাবে নাকি পাবে না।'