কলকাতা: ২ দিন আগেই মেতেছিলেন রঙের উৎসবে। দিনটা ছিল ৭ মার্চ। কিন্তু তার ঠিক ২ দিনের মাথাতেই থেমে যাবে জীবনের ঘড়িটা, কে জানত? সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্ট ছিল হোলির উৎসবের। মৃত্যুর পরে ভাইরাল সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik) শেষ হোলি উদযাপনের সেইসব ছবি। 


আজ সকালেই প্রয়াত হয় বলিউডের সফল অভিনেতা, পরিচালক সতীশ কৌশিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যুর খবর প্রথম দিয়েছিলেন অনুপম খের (Anupam Kher)। আর তারপরেই বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। শেষ হোলি সতীশ কাটিয়েছিলেন বলিউডের সঙ্গীদের সঙ্গেই। তাঁর শেষ রঙ খেলার সঙ্গী হয়েছিলেন আলি ফজল (Ali Fazal) ও রিচা চড্ডা (Richa Chaddha)-ও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছিলেন সতীশ।


জুহুর জানকি কুটিরে হোলির উদযাপন করেছিলেন সতীশ। কমলা টি শার্টে ঝলমলে সতীশ, তাঁর অসুস্থতার চিহ্নমাত্রও ছিল না। সবার সঙ্গেই আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন তিনি। সঙ্গী হয়েছিলেন জাভেদ আখতার (Javed Akhtar), সাবানা আজমি (Sabana Azmi)-ও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সেই ছবি দেখে আবেগপ্রবণ অনুরাগীরা। 


কেবল পরিচালক বা অভিনেতা বললে বোধহয় সঠিকভাবে বিবরণ করা যায় না সতীশ কৌশিককে। তিনি কমেডি অভিনয় করেছেন চুটিয়ে। আবার তাঁকে দেখা গিয়েছে দুঁদে ভিলেনের চরিত্রেও। তিনি ছিলেন পরিচালক, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। তাঁর উপহার দেওয়া 'তেরে নাম' (Tere Naam) বা মিস্টার ইন্ডিয়া (Mr. India) -র ছবি চিরকাল মনে রাখবেন দর্শক। 


আরও পড়ুন: Rakhi Sawant: যোগাযোগের চেষ্টা করে ফিরে আসতে চাইছেন আদিল, সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবছেন রাখি?


ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সতীশ। অভিনয় জগতের সঙ্গে তাঁর প্রথম যোগসূত্র ছিল থিয়েটার। তাঁর অভিনীত ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, 'মিস্টার ইন্ডিয়া' (Mr India), 'দিওয়ানা মস্তানা' (Deewana Mastana), 'ব্রিক লেন' (Brick Lane)2, 'সাজন চলে শ্বশুরাল' (Saajan Chale Sasural)। সতীশ কৌশিকের পরিচালিত ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল, 'রূপ কী রানি, চোরো কি রাজা'  (Roop Ki Rani Choron Ka Raja), 'প্রেম' (Prem), 'হাম আপকে দিল মে রহেতে হ্যায়' (Hum Aapke Dil Mein Rehte Hain) ও 'তেরে নাম' (Tere Naam)।


১৯৫৬ সালের ১৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন সতীশ কৌশিক। শেখর কপূর (Shekhar Kapoor) পরিচালিত মিস্টার ইন্ডিয়া ছবিতে তাঁর অভিনয় চিরকালই মনে রাখবেন দর্শক। তবে অভিনেতা হিসাবে ইন্ডাস্টিতে পা রাখলেও সতীশ কৌশিক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক হিসেবেই।