কলকাতা: 'দ্য কেরালা স্টোরিতে' (The Kerala Story Banned) রাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ (Supreme Court)। এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমদার এবং শুভাপ্রসন্ন।
এই রায় আমাদের স্বস্তি দিচ্ছে : তিলোত্তমা মজুমদার
তিলোত্তমা মজুমদার এদিন বলেছেন,' ..আমাদের ভাবতে হয় যে, পরবর্তী আরও কীসের উপর এই নিষেধের থাবা এসে পড়বে। সুতরাং এই রায় আমাদের স্বস্তি দিচ্ছে। আমরা অনেকটাই নির্ভরতার জায়গা খুঁজে পাচ্ছি সুপ্রিম কোর্টের কাছে।'
এটাই আমি চেয়েছিলাম : শুভাপ্রসন্ন
পাশাপাশি এদিন শুভাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, 'সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত কিছু বিবেচনা করে, সেটা খারিজ করে দেয়।এবং এটা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াতে আমার মনে হয়েছে, সেটা ভাল। এটাই আমি ব্যক্তিগতভাবে চেয়েছিলাম।তবে আমি সামান্য নাগরিক হিসেবে, যেটা চেয়েছি, সেটা একজন প্রশাসক, হয়তো কোনও শঙ্কা করেছিলেন। আশা করি সেই শঙ্কাটা দূরীভূত হবে। এবং এনিয়ে আর কোনও দ্বিধা থাকবে না।'
সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা রাজ্যের
উল্লেখ্য, 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের (West Bengal Govt) ।সিনেমা ব্যান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ছত্রে ছত্রে সমালোচিত রাজ্য সরকার। বাংলায় এবার 'দ্য কেরালা স্টোরি' প্রদর্শনে আপাতত রইল না কোনও বাধা। অশান্তির আশঙ্কার কথা বলে 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, কড়া পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
প্রসঙ্গত, ছবি মুক্তির পর সারা দেশ সাফল্য সঙ্গে এগিয়ে চললেও, বাংলায় নিষিদ্ধ ছিল এতদিন 'দ্য কেরালা স্টোরি'(The Kerala Story Banned)। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-কে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,'বিকৃত তথ্য দিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। কেরলে সিপিএম সরকার চুপ কেন? বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ আছে। বিরোধী দলকে বুলডোজ করার অধিকার কে দিয়েছে? শাসক দলের শান্তি বজায় রাখাই কর্তব্য। কিন্তু মণিপুরের শাসক দলই অশান্তি তৈরি করেছে। বাংলায় কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।' এরপরেই ওই সাংবাদিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-কে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত অভিযোগ ছিল, ছবিটির ট্রেলরে দেখানো হয়েছে, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে নিয়ে সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে আইএসআই-র প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।