নয়াদিল্লি: বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনওক্ষেত্রেই ভারত-পাকিস্তানের (India vs Pakistan) দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না। তবে আসন্ন সাফ কাপে (SAFF Cup) ভারতে খেলতে আসছে পাকিস্তান ফুটবল। পাঁচ বছর পর আবারও ভারত-পাকিস্তানের ফুটবল দ্বৈরথের সাক্ষী থাকতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। ২১ জুন থেকে ৪ জুলাই ভারতের বেঙ্গালুরুতেই আয়োজিত হবে এবারের সাফ কাপ। সেই টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে রয়েছে ভারত (Indian Football Team) ও পাকিস্তান, উভয় দলই।
বুধবারই আসন্ন সাফ কাপের ড্র আয়োজিত হয়েছিল। সেই ড্রয়ে গ্রুপ এ-তে ভারত ও পাকিস্তান তো রয়েছেই, সঙ্গে সঙ্গে কুয়েত এবং নেপালও একই গ্রুপে রয়েছে। অপরদিকে গ্রুপ বি-তে রয়েছে লেবানন, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ ও ভুটান। কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে গোটা টুর্নামেন্টটিই আয়োজিত হবে। রাউন্ড-রবিন লিগ ফর্ম্যাটে খেলা হবে এই টুর্নামেন্ট। রাউন্ড-রবিন পর্ব শেষে আট দলের টুর্নামেন্টের উভয় গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা দুই দল সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই করবে।
প্রসঙ্গত, লেবানন এবং কুয়েত দক্ষিণ এশিয়ার দল না হলেও, এই টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণের ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। টুর্নামেন্টের সকল দলগুলির মধ্যে ব়্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে লেবাননই। ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে তাঁরা ৯৯ নম্বরে রয়েছে। লেবাননের পরে ব়্যাঙ্কিংয়ে ১০১-এ থাকা ভারতীয় দলই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অপরদিকে, এই ভিত্তিতে সকলের পিছনে রয়েছে পাকিস্তান। পড়শি দেশ ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ১৯৫ নম্বরে রয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন প্রথম ম্যাচে কুয়েত ও নেপাল একে অপরের মুখোমুখি হবে। ওইদিনই দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত-পাকিস্তান একে অপরের মুখোমুখি হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সাফ কাপেই শেষবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেবার টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩-১ হারান সুনীল ছেত্রীরা। তবে দুর্ভাগ্যবশত সুনীলদের ফাইনালে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ১-২ স্কোরলাইনে হারতে হয়। সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তান ফুটবলের ময়দানে মোট ২০ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতীয় দলই এগিয়ে রয়েছে। ২০ বারের মধ্যে ১২ বারই জিতেছে ভারত।
প্রসঙ্গত, ২১ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ভারতীয় দল ২৪ তারিখ নেপালের বিপক্ষে এবং ২৭ তারিখ কুয়েতের বিপক্ষে মাঠে নামবে। ভারতের প্রতিটি ম্যাচই সন্ধে ৭.৩০টা থেকে শুরু হবে। ১ জুলাই টুর্নামেন্টের দুই সেমিফাইনাল ও ৪ জুলাই ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজিত হবে।
আরও পড়ুন: গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?