নয়াদিল্লি: প্রায় ৪ বছর পর ফের বড়পর্দায় ফিরতে চলেছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। রাত পোহালেই ২৫ জানুয়ারি। মুক্তি পাচ্ছে সিদ্ধার্থ আনন্দ (Sidharth Ananda) পরিচালিত 'পাঠান' (Pathaan)। অগ্রিম বুকিং চালু হতেই রেকর্ড সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়েছে এই ছবির। অনুরাগীদের মতে এটাই শাহরুখ খানের ম্যাজিক। আর কিং খানের ম্যাজিক এমনই, যে এই ছবির হাত ধরে খুলছে প্রায় ২৫টি বন্ধ হয়ে যাওয়া সিঙ্গল-স্ক্রিন (Single Screens) প্রেক্ষাগৃহ।


'পাঠান'-এর হাত ধরে খুলছে একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন


'পাঠান' ছবির বক্স অফিস কালেকশন কেমন হবে বা ছবির গল্প দর্শক কতটা ভালবাসবেন সেসব তো ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু এই ছবির মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ভাগ্য ফিরছে দেশজুড়ে প্রায় ২৫টি সিঙ্গল-স্ক্রিনের। বন্ধ হয়ে যাওয়া একগুচ্ছ সিঙ্গল-স্ক্রিন ফের খুলছে 'পাঠান' মুক্তির হাত ধরে। 


সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোন ও জন আব্রাহামকেও। দেশমাতৃকাকে সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে বাঁচাতে এক সেনার গল্প বলবে এই ছবি।


ছবির অগ্রিম বুকিং শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১ লক্ষ টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। তারই মাঝে ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ পোস্ট করে লেখেন, 'সিঙ্গল স্ক্রিনগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করছে পাঠান... রেকর্ড ভাঙা অ্যাডভান্স বুকিং, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, ভারতজুড়ে অন্তত ২৫টি সিঙ্গল স্ক্রিন, যেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, ফের খুলবে 'পাঠান'-এর সঙ্গে এই সপ্তাহে।'


 






প্রসঙ্গত, 'পাঠান' ছবির দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন বলিউডের ট্রেড অ্যানালিস্টরা। তরণ আদর্শ বলেন, 'আমরা সকলেই জানি, প্রায় ৪ বছর পর শাহরুখ খান বড়পর্দায় ফিরছেন তাও একেবারে আদ্যোপান্ত অ্যাকশন ছবির হাত ধরে, এবং ছবির প্রচারেই ম্যাজিক হয়ে গেছে। মানুষ এই ছবি নিয়ে কথা বলছেন। ২০২৩ সালের প্রথম বড় রিলিজ এটি, ফলে সকলের চোখ এই ছবির দিকে।' তাঁর আশা, এই ছবি বক্স অফিসে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে খাতা খুলবে। ছবির বিপুল পরিমাণ টিকিট অগ্রিম বুকিং প্রসঙ্গে তরণ আদর্শ বলেন, 'এর থেকেই প্রমাণ হয় যে দর্শক বড় মনোরঞ্জক ছবি বড়পর্দাতেই দেখতে চান।'


আরও পড়ুন: Kangana Back on Twitter: প্রায় ২০ মাস পর ট্যুইটারে ফিরলেন কঙ্গনা, 'ভাল লাগছে', পোস্টে জানালেন


চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং ট্রেড অ্যানালিস্ট গিরিশ জোহরের মতে 'পাঠান'-এর অগ্রিম টিকিট বিক্রি সমগ্র বলিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আত্মবিশ্বাস এনেছে। কারণ ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সিনেমা এবং দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলির সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল হিন্দি ছবিগুলিকে।