'দেবদাস' থেকে 'মোহব্বতে', শাহরুখ-ঐশ্বর্য্য জুটি অনায়াসেই মন মজাত দর্শকের। দুই তারকায় তখন তাঁদের কেরিয়ারের ভালো সময় কাটাচ্ছিলেন। কেবল অনস্ক্রিন নয়, পর্দার পিছনেও তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল বেশ জমাটি। তবে তাতে চিড় ধরে 'চলতে চলতে' ছবির সেটে। শোনা যায়, 'চলতে চলতে' ছবির জন্য প্রথমে শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করার জন্য ঠিক করা হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। কেবল ঠিক করা নয়, শুরু হয়ে গিয়েছিল ছবির শ্যুটিং-ও। কিন্তু কয়েকদিন শ্যুটিং চলার পরেই একদিন ছবির সেটে এসে উপস্থিত হন সলমন খান। সেই সময় সবে সবে সলমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ঐশ্বর্যের। সেসময় কিছু সমস্যা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। 'চলতে চলতে' -র ফ্লোরে এসে সেট ভাঙচুর করেন সলমন। সেই সময়ই সলমনের সঙ্গে ফ্লোর ছাড়েন ঐশ্বর্য। কারও বারণ না শুনেই শ্যুটিং অসম্পূর্ণ রেখে সেট ছেড়ে চলে যান তিনি।
'চলতে চলতে'-র ছবির কেবল নায়ক নয়, প্রযোজকও ছিলেন শাহরুখ। ঐশ্বর্যের এই ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হন তিনি। ঐশ্বর্য কে ছবি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তখনই। এরপর 'চলতে চলতে'-র নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য কাজলকে অনুরোধ করেন শাহরুখ। কিন্তু কাজল সব শুনে অভিনয়ে রাজি হননি। এরপর রানি মুখার্জীকে অনুরোধ করেন শাহরুখ। প্রথমে নারাজ হলেও পরে শাহরুখের সঙ্গে ভাল সম্পর্কের খাতিরে অভিনয়ে রাজি হয়ে যান রানি। রুপোলি পর্দায় 'চলতে চলতে'-র নায়িকা হিসাবে দর্শক দেখতে পায় রানিকেই। পরে ঐশ্বর্য্য জানতে পারেন, ছবি থেকে বাতিল হয়েছেন তিনি।
এই ঘটনা চিড় ধরায় শাহরুখ, ঐশ্বর্যর বন্ধুত্ত্বে। পরে অবশ্য শাহরুখ বলেছিলেন, আমি একজন প্রযোজকের জায়গা থেকে চিন্তা ভাবনা করেছিলাম। আমার সেই সময় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। ওই ঘটনার জন্য আমি ঐশ্বর্য্যের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু সেই ঘটনার ক্ষত আজও সারেনি শাহরুখ ঐশ্বর্যর মধ্যে।