আবারও সরকারের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ শঙ্করাচার্য। তাঁর নিশানায়  অভিনেত্রী হেমা মালিনীও।  সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দেওয়ার পর বৃন্দাবন ও মথুরায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রস্তাবিত বাঁকে বিহারী করিডোর প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। বৃন্দাবনে প্রস্তাবিত এই বাঁকে বিহারী করিডর নির্মাণের পরিকল্পনা  নিয়ে  অত্যন্ত ক্ষুব্ধ শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ। তাঁপ মতে, এটা সরাসরি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত। শঙ্করাচার্যের মতে,  মন্দিরে কোনও নির্মাণ কাজ করতে হলে, সবার আগে সেখানকার ধর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলা উচিত। কিন্তু সরকার নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েছে, মন্দিরে কাজ শুরু করতে চলেছে। মানুষের সুবিধা বৃদ্ধির নাম করে এভাবে মন্দিরকে সরকারি দখলে নেওয়া সনাতনী মর্যাদা ভঙ্গের সামিল। তিনি বলেন, এর আগেও বারাণসীতে করিডরের নামে ধর্মীয় বিশ্বাস ভঙ্গ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ,  মন্দিরের কাছেই রাজনীতিবিদদের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে এখন। এটা কি ঠিক? এরপরই অবিমুক্তেশ্বরানন্দ বাঁকে বিহারী করিডর-প্রকল্পটির প্রশংসা করার জন্য বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীকে নিশানা করেন। বলেন, উনি মুসলমান, ধর্মের জ্ঞান নেই।

হেমা মালিনীকে নিয়ে শঙ্করাচার্য যা বললেন...        

 মথুরার সাংসদ অভিনেত্রী হেমা মালিনী বাঁকে বিহারী করিডরের বিষয়টিতে উৎসাদ প্রদর্শন করেন। সে-বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে,  শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, হেমা মালিনী মুসলমান । বিয়ে করার জন্য তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর কীভাবে জ্ঞান হবে? ' তিনি ছোটবেলা থেকেই ছবিতে কাজ করেছেন, তাঁর কথামতো যদি আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ভঙ্গ করা হয়, তাহলে আমরা বুঝব বৃন্দাবনের মানুষজন একজন অ-হিন্দু প্রতিনিধিকে বেছে নিয়ে ভুল করেছে। আপনি যতই সুবিধা বাড়াবেন, স্বাভাবিকভাবেই আশা থাকবে। সরকার একবারও ধর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে? সরকার সরাসরি এসে মন্দিরে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে ঢুকে পড়েছে।'

শঙ্করাচার্য বলেন,'বারাণসীতে বিশ্বনাথজীর মন্দিরে আমরা দেখেছি কীভাবে মর্যাদা ভঙ্গ করা হয়েছে। আপনি গাড়ি নিয়ে আমাদের মন্দির পর্যন্ত ঢুকে পড়েন, এতে ধর্মস্থানের  মর্যাদাহানি হয়।  রাজনীতিবিদদের গাড়ি আমাদের ভগবানের দ্বার পর্যন্ত এলে এটা মর্যাদা ভঙ্গ নয় কি? ' । এমনই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রস্তাবিত করিডোরটির অনুমোদন দেয়। এর পরে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন স্থানীয় জনগণের একাংশ। অনেকেই মনে করে, সরকারের  প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ধর্মস্থানের সনাতনী ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।