মুম্বই: ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তুনিশার শর্মার (Tunisha Sharma) অস্বাভাবিক মৃত্য়ু মামলায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। ধারাবাহিকের সেটের মেকআপ রুমেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা আত্মঘাতী হয়েছেন তুনিশা। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খানকে (Sheezan Khan) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা। তাঁর অভিযোগ ছিল, তুনিশা শর্মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন শিজান। গোটা বিষয়টাই এখন তদন্তাধীন। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এরইমধ্যে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী কারণে প্রেমিক শিজানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল তুনিশার?
কী কারণে তুনিশা ও শিজানের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়?
গ্রেফতারির পর বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন প্রয়াত অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খান। সেখানেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দাবি, শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যা ঘটনা সামনে আসার পরই তাঁরা সম্পর্ক ভাঙেন। অভিযোগ ওঠে, লিভ ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালার দিকে। শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যার ঘটনা সামনে আসার পরই দোটানায় ভুগতে শুরু করেন শিজান। তাঁর এবং তুনিশার সম্পর্কও দুটি আলাদা ধর্মের। তাই, সেই ঘটনা তাঁর মনে এতটাই প্রভাব ফেলে যে, তুনিশার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙেন তিনি।
আরও পড়ুন - Salman Khan Birthday: দীর্ঘ প্রেমিকা তালিকা! যাঁদের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সলমন খান
প্রসঙ্গত, এর আগে তুনিশা শর্মার মা একটি ভিডিও মেসেজের মাধ্যমে শিজান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, শিজান তুনিশাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও সম্পর্ক ভাঙেন। অভিনেত্রীর মা বলছেন, 'অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই তুনিশার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওর (শিজান খান)। ও তুনিশাকে তিন-চার মাস ব্যবহার করেছে। আমি শুধু বলতে চাই, শিজান যেন শাস্তি পায়। ওকে যেন কোনওভাবেই ক্ষমা না করা হয়। আমি আমার সন্তানকে হারিয়েছি।'
বড়দিনের উৎসবের আগেই বিনোদনের জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া। ছোট পর্দার পরিচিত মুখ তুনিশা শর্মার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ধারাবাহিকের মেকআপ রুম থেকে। শ্যুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। পরে শৌচাগারে যান। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ না বেরনোয় ভাঙা হয় ঘর। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।