নয়াদিল্লি: শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালা। শনিবার বিকেলে মুম্বইতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আর সেই শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা এবং বন্ধু-বান্ধবরা। অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার (Shefali Jariwala Death) আকস্মিক মৃত্যুর চলমান তদন্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (Anti-Ageing Medicine) উঠে এসেছে। সূত্র অনুসারে পুলিশ তাঁর মৃত্যুতে সাক্ষীদের বয়ান, বাজেয়াপ্ত প্রমাণাদি এবং প্রাথমিক ফরেন্সিক ইনপুটের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে।

এরই মধ্যে সূত্র অনুসারে জানা গিয়েছে, শেফালি বিগত ৭-৮ বছর ধরে বার্ধক্য ঠেকানোর ওষুধ খাচ্ছিলেন। রোজই এই ওষুধ খেতেন তিনি। ২৭ জুন তাঁর বাড়িতে একটি পুজো ছিল। আর এই কারণে শেফালি উপবাস রেখেছিলেন। তা সত্ত্বেও সেই দিন দুপুরে শেফালি অ্যান্টি-এজিং ইঞ্জেকশন নেন। কয়েক বছর আগে তাঁর চিকিৎসক তাঁকে এই ওষুধ দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই প্রতি মাসে এই ওষুধ নিয়মিতভাবে নেন শেফালি। পুলিশের তদন্তে এখনও পর্যন্ত এই সম্ভাবনাই বেশি দেখা যাচ্ছে যে এই ধরনের বার্ধক্য ঠেকানোর ওষুধের কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে শেফালির। জানা গিয়েছে যে ২৭ জুন রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই শেফালি জরিওয়ালার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটে।

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, 'রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে হঠাৎ করেই শেফালির স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। শরীর কাঁপতে থাকে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় শেফালি, তাঁর স্বামী পরাগ ত্যাগী, তাঁর মা এবং আরও কিছু লোক তাঁর বাড়িতে ছিলেন।' তদন্তের কারণে শেফালির বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিস সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী ফরেন্সিক টিম। কিছু ওষুধও পাওয়া গিয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে যার মধ্যে ছিল অ্যান্টি-এজিং ভায়াল, ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট এবং গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট।

ইতিমধ্যেই মোট ৮ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ, এদের মধ্যে পরিবারের সদস্য, গৃহ পরিচারক, বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রমুখরা ছিলেন। এবারে তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তাঁর ভিত্তিতেই পুলিশ পদক্ষেপ করবে এবং সেই সমস্ত ওষুধগুলির ল্যাব পরীক্ষা করা চলছে।   

২০০২ সালে প্রথম 'কাঁটা লগা' মিউজিক ভিডিয়োর হাত ধরেই সারা দেশ জুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন শেফালি জরিওয়ালা। পরে 'মুঝসে শাদি করোগি' ছবিতে অক্ষয় কুমার এবং সলমন খানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন শেফালি।