গত ১৪ জুন মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তে নেমে এনসিবি রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ থেকে মাদক সংগ্রহের বিষয়টি জানতে পারে। গত ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তার আগে রিয়াকে তিনবার জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, রিয়া জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম বলেছেন। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ’’রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলি দেখার পর প্রাথমিক তদন্তে শ্রদ্ধা কপূর, সারা আলি খান-সহ বেশ কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম পাওয়া গিয়েছে। ওই দুজনকে চলতি সপ্তাহেই তলব করা হবে। খুব শীঘ্রই নোটিস পাঠানো হবে তাঁদের।‘‘
মাদক-তদন্তে এনসিবি আজ ডেকে পাঠিয়েছে সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজারকে।
৫৯ গ্রাম মারিজুয়ানা উদ্ধারের পর দ্বিতীয় মাদক-যোগের মামলাটি দায়ের করেছে এনসিবি। ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিক এবং সুশান্তের দুই কর্মচারী-সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
রিয়ার গ্রেফতারির পর আদালতো পেশ করা নথিপত্রে তাঁকে ‘ড্রাগ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য’ বলেছিল এনসিবি। মুম্বইয়ের এক আদালত রিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করে বলে, তিনি ছাড়া পেলে জেরায় যাঁদের নাম করেছেন, তাঁদের সাবধান করে দিতে পারেন, তথ্যপ্রমাণও নষ্ট হতে পারে। তাঁকে দিয়ে জোর করে বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে, রিয়ার এই সাফাইও খারিজ করেছে আদালত।