কলকাতা: আরজি করের চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে শহর যখন উত্তাল, তখনই কলকাতায় আসার কথা ছিল সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal)। কিন্তু শহরের উত্তাল পরিস্থিতি বুঝে, আর সেই সময়ে কারও বিনোদনের মতো মানসিকতা নেই বুঝেই শহরে আসা পিছিয়ে দিয়েছিলেন শ্রেয়া। তবে ঘটনার প্রায় ৭০ দিন কেটে যাওয়ার পরে তিনি কলকাতায় এলেন। আর তাঁর গলায় শোনা গেল প্রতিবাদের সুর, প্রতিবাদের ভাষা।
রাজপথে অনশন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আজ অনশনের ১৬ দিন। বিচারের দাবিতে অটল জুনিয়র চিকিৎসকেরা। প্রতীকী অনশনে যোগ দিচ্ছেন আরও অনেকে। তবে এবার শ্রেয়ার গলায় শোনা গেল প্রতিবাদের সুর, প্রতিবাদের ভাষা। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে শ্রেয়ার গলায় শোনা গেল প্রতিবাদের ভাষা। কলকাতার আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে গোটা বিশ্ব। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই গান লিখেছেন অরিজিৎ সিংহ (Arijit Singh)। আর কবে? সেই গান ছড়িয়ে পড়েছে মুখে মুখে। হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের ভাষা। এরপরে কলকাতায় এলেন শ্রেয়া, প্রায় ৭০ দিন পরে। আর নেতাজি ইন্ডোরের হল ভর্তি দর্শকের সামনে প্রতিবাদী কন্ঠে শ্রেয়া গেয়ে উঠলেন, ‘যত ইচ্ছের ভাঙা ডানা, যত গল্প নজরবন্দি / যত সন্ধের যাওয়া মানা, যত রাত্রির অভিসন্ধি / সব মিথ্যের আর ধন্দের, তাই রক্তের সোঁদা গন্ধে / শুধু পৌঁছে যাবে, ঘুচে যাবে, বেঁধে রাখা গণ্ডি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তাই ভাঙে পাড়, ভাসে ঘর, ভাঙে চেনা সুপ্তি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তুমি বন্ধু আজ শুনবে…’
এই গান গাওয়ার পরে কাউকে হাততালি দিতে বারণ করেন শ্রেয়া। জানান, সেটি আরজি করের প্রতিবাদের জন্য তৈরি গান। এই গান উচ্ছ্বাসের জন্য নয়, উদ্দিপনার জন্য নয়। হাততালি না পেলেও শ্রেয়ার এই গান প্রশংসিত হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।