মুম্বই: হাতের উপর হাত রাখা, সারা জীবন বইতে পারার প্রতিশ্রুতি। বাস্তব জীবনে সহজ না হলেও, চিত্রনাট্যে খাপ খেয়ে যায় বেমালুম। সেই দুঃসাধ্য কাজকেই এ বার সহজতর করে দেখালেন তারকা যুগল কিয়ারা আডবাণী এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্র। মরুশহরের বুকে এরসঙ্গে সাতজন্ম কাটানোর অঙ্গীকার করলেন তাঁরা। জানালেন, পাকাপাকি বুকিং হয়ে গিয়েছে তাঁদের। 


প্রেমের বয়স স্বল্প হলেও, মায়ানগরীর 'দ্য ইট কাপল' বলেই পরিচিতি তৈরি হয়েছিল কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থের। 'শেরশাহ' ছবিতে প্রথম একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদের। সেখান থেকেই নাকি প্রেমপর্বের সূচনা। পার্টিতে, রেস্তরাঁয় এমনকি বিমানবন্দরেও দেখা গিয়েছে একসঙ্গে। তবুও খুল্লমখুল্লা প্রেমের স্বীকারোক্তির দিকে যাননি কেউই। বরং ধরি মাছ, না ছুঁই পানি আচরণ ছিল আগাগোড়া।



কিন্তু কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থের বিয়ের খবর চাপা থাকেনি। 'কবীর সিং' শাহিদ কপূর প্রথম সতীর্থের বিয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গতবছর। তার পর থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন। ৫, ৬, ৭ জানুয়ারির মধ্যে কোনও একদিন বিয়ে হতে পারে বলে শোনা যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মঙ্গলবারই চারহাত হয়েছে তারকা যুগলের। তার পর থেকে নবদম্পতির বিশেষ মুহূর্তের দর্শন পেতে মুখিয়ে ছিলেন অনুরাগীরা। শেষ পর্যন্ত রাতে আশ মেটালেন কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ। 


এ দিন বিয়ে ছবি পোস্ট করে ইনস্টাগ্রামে কিয়ারার লেখায় উঠে আসে 'শেরশাহ' ছবির সংলাপ। জানান, পাকাপাকি বুকিংয় হয়ে গিয়েছে। কিয়ারা লেখেন, 'আমাদের পার্মানেন্ট বুকিং হয়ে গেল। আগামীর যাত্রার জন্য আপনাদের আশীর্বাদ এবং ভালবাসা চাই'। এর পর আলাদা করে সিদ্ধার্থও বিয়ের ছবি পোস্ট করেন। তাঁর বার্তাও ছিল হুবহু এক। 


তবে লাল নয়, বিয়ের জন্য গোলাপি রংই বেছে নিয়েছিলেন কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ। তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্র তৈরি গোলাপি রংয়ের লেহঙ্গা পরেছিলেন কিয়ারা। সিদ্ধার্থের পরনে ছিল রং মেলানো শেরওয়ানি। নতুন জীবনের শুরুে কখনও ঝুঁকে পরস্পরের সামনে হাতজোড়ে করেছেন তাঁরা, কখনও হাতের উপর হাত রেখে, চোখে চোখ রেখে অঙ্গীকার করেছেন পাশাপাশি থাকার। কোথাও আবার স্বামীর গালে চুমু এঁকে দিয়েছেন কিয়ারা, আবার সিদ্ধার্থও তাঁর গালে চুমু এঁকেছেন, যা দেখে উৎফুল্ল তাঁদের অনুরাগীরা।