মুম্বই: ফের একবার শিরোনামে সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moose Wala)। এবার ইউটিউব থেকে মুছে ফেলা হল, সিধু মুসেওয়ালার শেষ গান। এক মাসে যার দর্শক সংখ্যা ছিল ২৭ মিলিয়নেরও বেশি। কিন্তু সেই গান মুছে ফেলার পিছনে ঠিক কী কারণ ছিল?
চণ্ডীগড় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সরকারের রোষেই এই গান মুছে ফেলতে হয়েছে ইউটিউব থেকে। কারণ এই গানের শুরুতেই নাকি রাজনীতির উল্লেখ ছিল। সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাঞ্জাবে সরকার গঠনের পরে আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সদস্য সুশীল গুপ্ত ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘২০২৪-এ হরিয়ানায় সরকার গড়ব আমরা। আর ২০২৫-এ জল পৌঁছে যাবে হরিয়ানার প্রত্যেক চাষির কাছে। এটা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, গ্যারান্টি দিচ্ছি।’’ মুসেওয়ালার গানের লাইনগুলির অর্থ ছিল কিছুটা এমন, ‘আমাদের অতীত আর উপজাতি ফিরিয়ে দাও। দিয়ে দাও চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, হিমাচল। জল ভুলে যাও, সার্বভৌমত্ব না পেলে এক বিন্দুও দেব না। সেতুর নীচ দিয়ে জল বইবে। তোমরা ভালবাসায় মন জিততেই পারো, কিন্তু আমরা মাথা নত করব না। আমরা জল দেব না তোমাদের, কারণ তোমাদের চাওয়ার ধরণে বড্ড অপমান।’
আরও পড়ুন: Malaika On Arjun's Birthday: প্যারিসের নিভৃত উপকন্ঠে মালাইকার প্রেম মেখে অর্জুনের জন্মদিন উদযাপন
শোনা যাচ্ছে, ভারতের বাইরে এখনও ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে গানটির ভিডিও। এই গানটিতে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। শিখ বন্দিদের মুক্তির দাবি থেকে শুরু করে শতদ্রু-যমুনা নদী সংযোগকারী খাল নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক, বিভিন্ন বিতর্কিত শিখ ব্যক্তিত্ব ও জঙ্গিদের ছবি, পাঞ্জাবে জল বণ্টনের সমস্যা সমস্ত কিছুই সুরের বাঁধনে সোজাসুজি বলা হয়েছে এই গানে। সূত্রের খবর, সেই কারণেই সরকারের তরফে আপত্তি উঠেছে এই গান নিয়ে।
চলতি বছরের ২৯ মে, পাঞ্জাবের (Punjab) মানসা জেলায়, নিজের গ্রাম জাওয়ারে খুন হয়েছেন সিধু। অন্য দিকন বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে বেরোলেও, এ দিন মহিন্দ্রা থর জিপ নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। চালকের আসনে ছিলেন নিজেই। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বন্ধু। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় তিন দিক থেকে তিনটি গাড়ি এসে সিধুকে ঘিরে ফেলে। তার পর এলোপাথাড়ি সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। আত্মরক্ষার কোনও সুযোগি পাননি সিধু। গাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁর দুই বন্ধুও।