মুম্বই: ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল, অভিনেত্রী হবেন। লুকিয়ে দেখতে যেতেন শ্যুটিং। টানত অভিনয়ের আদব কায়দা। বাবা মার কাছে আবদারও করেছিলেন, কিন্তু রাজি হয়নি। নাছোড় কিশোরী। অনুমতি পেতে বসলেন অনশনে। অবশেষে জেদের কাছে হার মানলেন মা-বাবা। শুরু হল সিমি গাড়ওয়ালের অভিনয় জীবন।


১৯৬২ সালে পা রেখেছিলেন বলিউডে। দর্শক তাঁকে চিনেছেন 'দো বাতে', 'মেরা নাম জোকার', 'সিদ্ধার্থ', 'কর্জ' সহ একাধিক ছবির মধ্যে দিয়ে। তিনি সিমি গাড়ওয়াল। গতকালই ৭৩ বছরে পা দিলেন বর্ষীয়াণ এই অভিনেত্রী। বলিউডে পা রাখেন ফিরোজ খানের সঙ্গে ডেবিউ করেন তিনি। 'টারজান গোজ টু ইন্ডিয়া' ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্র জনপ্রিয় হয় দর্শকদের মধ্যে। পঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রীর জীবনের গল্পটাও বেশ আকর্ষণীয়।

লুধিয়ানাতে জন্ম হলেও ইংল্যান্ডে বড় হয়েছিলেন সিমি। ছোটবেলা থেকেই সিনেমার ওপর আগ্রহ ছিল তাঁর। শ্যুটিং দেখতে যেতেন তিনি ছোটবেলা থেকেই। একটু বড় হওয়ার পর বাবা-মার কাছে অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান তিনি। কিন্তু মা-বাবা রাজি হননি। অভিনেত্রী হওয়ার জন্য অনশন শুরু করেন সিমি। শেষপর্যন্ত সিমির জেদের কাছে হার মানেন বাবা-মা। সিমি অনুমতি পান অভিনেত্রী হওয়ার।

সিমির ব্যক্তিগত জীবনও মসৃণ ছিল না। ১৭ বছর বয়সে প্রথম প্রেমের সম্পর্কে জানান তিনি। একটা সময় মনসুর পতৌদি আলি খানের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর। তখনও মনসুরের জীবনে আসেননি শর্মিলা ঠাকুর। রবীমোহনের সঙ্গে বিয়ে হয় সিমির। কিন্তু সেই বিয়ে ভেঙে যায়।

সারা জীবনে বহুবার শিরোনামে থেকেছেন সিমি। একবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'আমার সাদা রঙ ভীষণ প্রিয়। ছোটবেলায় আমার একটা পার্টিতে পরার সাদা পোশাক ছিল। সাদা পোশাক আমার মন ভালো করে দেয়।'