কলকাতা: গতকাল কলকাতায় অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী কে কে (KK)। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন দুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন গায়ক রূপম ইসলাম (Rupam Islam)।

 

শোকবিহ্বল রূপম

 

ফেসবুকে পোস্ট করে রূপম ইসলাম লেখেন, 'অবিশ্বাস্য! একই সুপারহিট অ্যালবাম ‘জন্নত’-এ কাজ করা সত্ত্বেও আমাদের আলাপ হয়নি কোনওদিন। অনেকের সঙ্গেই তো হয়েছে। কেকে-র সঙ্গে হয়নি। আজ মনে হচ্ছে আলাপটা হওয়ার ছিল না।

 

খুব কম শিল্পীর গান চার ফর্ম্যাটে সংগ্রহ করে শুনেছি। প্রথমে ক্যাসেট। তারপর সিডি। তারপর ডিজিট্যাল। সব শেষে এল পি রেকর্ড। ‘পল’ অ্যালবামটি এমনই মারাত্মক এফেক্ট ফেলেছিল জীবনে যে ওই অ্যালবামের সব কিছুই সংগ্রহে আছে। এই অ্যালবামের একটি গান একবার ফসিলস-এর হয়ে কাভার করেছিলাম। ’আপ কি দুয়া’। স্ট্রেট ফরোয়ার্ড রক অ্যান্ড রোল। জানি না কোনও শ্রোতার সে কথা মনে আছে কি না। তখনও তো ফসিলস পরিচিত হয়ে ওঠেনি।

 



নজরুল মঞ্চ ওভারক্রাউডেড হয়ে গেলে কী হয়, সে অভিজ্ঞতা আছে। এসি বন্ধ হয়ে যায়। মঞ্চেও সার বেঁধে দর্শক দাঁড়িয়ে থাকলে দম নেওয়ার ফাঁকটুকুও থাকে না। কয়েকদিন আগে এরকমই এক অনুষ্ঠানে রকসংগীত পরিবেশন করেছিলাম। অভ্যেস না থাকলে পারা মুশকিল— এ নিয়ে কয়েকটি মন্তব্য করেছিলাম। এখন হয়তো কেউ কেউ বুঝবেন— কতটা শারীরিক কষ্ট সহ্য করে আমাদের পারফর্ম করতে হয়। ঠান্ডার দেশ তো আর নয়!

 



আমি বিদেশে আছি। এইমাত্র সকাল হল। ঘুম ভেঙেই এই খবর। মনে পড়ে এরকমই এক প্রবাসকালে শ্রদ্ধেয় আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার খবর পেয়েছিলাম। পরেরদিন আবার দুঃসংবাদ— প্রয়াত কবিবন্ধু পৌলোমী সেনগুপ্ত।' (অপরিবর্তিত)

 


 

এবিপি আনন্দকে দেওয়া রূপমের প্রতিক্রিয়া



 

এদিন ফোনে ধরা হলে রূপম ইসলাম বলেন, 'নজরুল মঞ্চে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শো করতে হয়। কিছুদিন আগেই সেখানে গেট ক্র্যাশ হয়েছিল। ফলে শিল্পীর যদি আগে থেকে সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে সমস্যা হয়। অডিটোরিয়ামে যত সংখ্যক দর্শক ধরে তার থেকে বেশি দর্শককে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়।'