নয়াদিল্লি: বলিউডে হিন্দুধর্ম ও দেশকে খারাপভাবে উপস্থাপিত করা হয়। এই দাবি করলেন গায়িকা মৈথিলি ঠাকুর। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যতই প্রস্তাব আসুক না কেন, কোনওদিন বলিউডের ছবিতে গান গাইবেন না।

নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ২০ বছর বয়সি এই গায়িকা। লেখিকা শেফালি বৈদ্য সহ অনেকেই এই তরুণীর প্রশংসা করছেন। শেফালির ট্যুইট, ‘এটা বিশাল ব্যাপার। এই বাচ্চাটার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা। মৈথিলি, তোমার জন্য গর্ব হচ্ছে।’ আরও অনেকেই মৈথিলির প্রশংসা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছে।

২০০০ সালের ২৫ জুলাই বিহারের মধুবনীতে জন্ম মৈথিলির। তিনি ছোটবেলা থেকেই গান গাইছেন। হিন্দি ছাড়াও ভোজপুরী, মৈথিলি সহ বিভিন্ন ভাষায় গান গাইছেন। তাঁর অনুরাগী অসংখ্য। বলিউডে গান গাইবেন না বলার পর তাঁর ভক্তের সংখ্যা একলাফে অনেক বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই তাঁকে ভারতের নতুন ‘ইয়ুথ আইকন’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

বয়স মাত্র ২০ হলেও, ইতিমধ্যেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন মৈথিলি। তিনি ২০১১ সালে লিটল চ্যাম্পসের অডিশন দেন। কিন্তু সেবার তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। এরপর আরও কয়েকটি মিউজিক শোয়ের জন্য অডিশন দেন তিনি। তবে প্রথম ২০ জনের মধ্যে নির্বাচিত হওয়ার পর বাদ পড়ে যান। তবে হাল ছাড়েননি এই তরুণী। শেষপর্যন্ত তিনি নিজেকে প্রমাণ করেন।

মৈথিলির পরিবারে সঙ্গীতের চর্চা আছে। তাঁর বাবা রমেশ ঠাকুর জনপ্রিয় সুরকার। মা ভারতী ঠাকুর গৃহবধূ। মৈথিলির দুই ভাই আছে। তারা দিদির সঙ্গে তবলা আর হারমোনিয়াম বাজায়। বাবার কাছেই মৈথিলির সঙ্গীতের প্রাথমিক পাঠ। মেয়ের প্রতিভার পরিচয় পাওয়ার পরেই তাঁকে ভালভাবে গান শেখাতে শুরু করেন রমেশ। তিনি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দিল্লির দ্বারকায় থাকতে শুরু করেন। সেখানেই মৈথিলি ও তাঁর দুই ভাইয়ের হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, হারমোনিয়াম ও তবলা শেখাতে শুরু করেন। এভাবেই নিজের সন্তানদের সঙ্গীত জগতে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন রমেশ।