মুম্বই:  কিংবদন্তী অভিনেত্রী স্মিতা পাটিলের জীবন প্রদ্বীপ সময়ের চেয়ে একটু আগেই থেমে গিয়েছিল। মাত্র ৩১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় বলিউডের এই অন্য ঘরাণার অভিনেত্রীর, যিনি আশির দশকে ছিলেন সেই সময়ের অন্য অভিনেত্রীদের থেকে অনেক বেশি প্রগতিশীল মনোভাবসম্পন্না এক নারী। তাঁর সমসাময়িক অন্য নাকিয়াদের থেকে ছিলেন একটু হলেও আলাদা। বুধবার ছিল তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। স্ত্রী স্মিতা চলে গিয়েছেন ৩১ বছর আগে।কিন্তু আজও স্বামী রাজ বব্বরের বিশ্বাস হয় না, স্মিতা আর নেই।





স্মিতা এবং রাজের সন্তান প্রতীক বব্বরও এখন অভিনেতা। প্রতীককে মানুষ করেছেন স্মিতার মা-বাবা।

তবে রাজ-স্মিতার অল্পদিনের সংসার জীবনেও ছিল নানা জটিলতা। স্মিতার প্রেমে যখন পড়েন রাজ, তখন অভিনেতার থিয়েটার শিল্পী নাদিরা জাহিরের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ১৯৮৬ সালে স্মিতার মৃত্যুর পর রাজ ফের ফিরে যান তাঁর প্রথম স্ত্রী নাদিরার কাছে। প্রথম বিয়ে থেকেও রাজের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁরা দুজনও এখন অভিনয় জগতের সঙ্গেই যুক্ত।

তবে দীর্ঘ ৩১ বছর কেটে যাওয়ার পরও রাজ তাঁর স্বল্প সময়ের এই সঙ্গীকে একটুও ভোলেননি। বরং স্মিতার অনুপস্থিতি আজও রাজকে কাঁদায়। তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না, স্মিতা আর নেই। টুইট করেছেন রাজ।

৮০-র দশকে স্মিতা-রাজের সম্পর্ক ছিল চর্চার কেন্দ্রে। কারণ, সেসময় নাদিরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই স্মিতাকে বিয়ে করেন রাজ। আর বাবা-মায়ের এই জটিল সম্পর্কের অস্থিরতার মাঝে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তাঁদের সন্তান প্রতীক বব্বর। প্রসঙ্গত, প্রতীক এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তাঁর মা যদি আর একটু বেশি দিন বাঁচতেন, আর বাবা যদি তাঁকে একটু সময় দিতেন, তাহলে হয়তো সবকিছুই অনেক অন্যরকম হত।

 



প্রসঙ্গত, স্মিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে শুধু রাজ বব্বর নন, অমিতাভ বচ্চনকেও নস্টালজিক হতে দেখা গিয়েছে। 'শক্তি', 'নমক হালাল'-এর মতো একাধিক হিট ছবিতে দুজনে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, কুলি ছবিতে অমিতাভের ভয়াবহ দুর্ঘটনার আগে নাকি একটি মারাত্মক দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন স্মিতা। সেকথা তিনি ফোন করে জানিয়েও ছিলেন বিগ বিকে। 'অর্থ', 'মন্থন', 'মির্চ মশালা', 'ভূমিকা'র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয়ের জন্যে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে চিরকালই মনে রাখবে।