কলকাতা: বাস্তবে তিনি ব্যস্ত বিধায়ক। কিন্তু পর্দায়, একজন চোর! নতুন ছবি 'জয় কালী কলকাত্তেওয়ালী'-তে প্রথমবার একসঙ্গে জুটি বাঁধছেন সোহম চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শ্যুটিং। কেবল নুসরত সোহম নয়, ছবিতে অভিনয় করছেন সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, সোমরাজ মাইতি। 


প্রথমবার পর্দায় চোরের চরিত্রে অভিনয় করতে কেমন লাগছে? এবিপি লাইভকে সোহম বলছেন, 'এই ছবির চোরেরা বেশ মজাদার। তাঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষিত, কিন্তু তাদের চাকরি নেই। পরিস্থিতির চাপে পরেই এই রাস্তা বেছে নেয় তারা। তবে এই তিন চরিত্র কখনও কারও ক্ষতি করে না। ছোট ছোট চুরি করতে করতে হঠাৎ তাদের হাতে পড়ে যায় একটা কালীমূর্তি। সেই কালীমূর্তি যে কতটা দুষ্প্রাপ্য সেই ধারনাই ছিল না তাদের। ফলে অত্যন্ত কম দামেই সেটা বিক্রি করে দিতে যায় তারা। তারপরের গল্প নিয়েই তৈরি এই ছবিটা। মজার মোড়কেই এগিয়েছে চিত্রনাট্য।'


বাস্তবে বিধায়ক আর পর্দায় চোর! হাসতে হাসতে সোহম বললেন, 'দুটো দিক সম্পূর্ণ আলাদা। শ্যুটিং ফ্লোরে বিধায়ক সত্ত্বাকে বাইরে রেখে আসি। একজন অভিনেতা হিসাবে আমাদের সবরকম চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। তখন ভাবি সেই চরিত্রটা কোন কোন পরিস্থিতিতে কেমন ব্যবহার করবে। সেটা মাথায় রেখেই অভিনয় করি।'


সদ্য মা হয়েছেন নুসরত। সোহম নিজেও সন্তানের বাবা। শ্যুটিং ফ্লোরে বাড়ির একরত্তিদের নিয়ে কথা হয়? সোহম বলছেন, 'নুসরতের সঙ্গে এর আগে ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু ওর বিপরীতে অভিনয় করিনি। ক্যামেরার বাইরে আমাদের অনেকদিনের পরিচিতি, সম্পর্কও খুব ভালো। আর তাই ওর সঙ্গে কাজ করতে বেশ ভালো লাগছে। মজা করেই কাজ চলছে। নুসরত হামেশাই জিজ্ঞাসা করে আমার ছেলের কথা। আমিও জিজ্ঞাসা করি পুঁচকেটা কী করছে? আর পাঁচটা বাবা-মায়ের মত মিষ্টি আলোচনা তো থাকেই। কখনও কখনও আবার ছোটদের নিয়ে বিভিন্ন গম্ভীর আলোচনাও হয়।'


আজ কালীপুজো। কেমন করে কাটত সোহমের ছোটবেলার কালীপুজো? অভিনেতা বলছেন, 'ছোটবেলার কালীপুজো মানেই বাজি। বাজি ছাড়া কালীপুজো ভাবতেই পারতাম না। তবে এবার তো প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু কড়াকড়ি হয়েছে। একজন নাগরিক হিসাবে সেটা মেনে চলাই আমাদের উচিত। আমি একটা বাজি পুড়িয়ে আনন্দ করব আর তার জন্য একজন অসুস্থ মানুষের ক্ষতি হবে সেটা কেউই চাই না। মায়ের পুজোয় আরাধনাই যথেষ্ট। আশা করব সবাই সেটাই মেলে চলছেন।'