কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের আবহে আজ থেকে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু। ধর্ষণ নিয়ে কঠোর আইন আনতে চায় রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এনিয়ে বিল আনা হবে বিধানসভায়। আগামীকালই আলোচনা ও বিল পাসের সম্ভাবনা। বিজেপি এই দুদিনের বিশেষ অধিবেশনে সব বিধায়ককে বাধ্যতামূলকভাবে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বিধানসভায় বিল পাসের পর রাজ্যপালের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। 


আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ সর্বত্র। গত বুধবার মেয়ো রোডে  তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,'ধর্ষকদের জন্য ন্যায় সংহিতায় ১০ বছর, ১২ বছরের ধাপ রয়েছে। এর কী প্রয়োজন ছিল। রাজ্যের হাতে ক্ষমতা নেই। রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে সাত দিনে করে দেব আমি। যারা ধর্ষণ করবে, তাদের একমাত্র সাজা ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি। ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি, আর কিছু নয়। এই একটা কাজ করলে মনে রাখবেন, সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।'


আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ধর্ষণের দ্রুত শাস্তি নিয়ে কৌশলী জোড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টা করলেন মোদি সরকারের ওপর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাতারাতি এই সরকার নোটবন্দি করতে পারে, তাহলে ধর্ষণ বিরোধী আইন আসে না কেন? আজকে আমাদের যেটা দরকার, ধর্ষণ বিরোধী সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আইন। এই আইন যদি আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে ভারতবর্ষের কেন্দ্রের সরকার প্রণয়ন না করে তাহলে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন তৃণমূল কংগ্রেস গড়বে। কেন্দ্র না আনলে আমি প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করব। 


আরও পড়ুন, 'RG করের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিলে সাসপেন্ড করব দল থেকে..', হুঁশিয়ারি TMC বিধায়কের, ভাইরাল অডিও


মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডাকব, বিধানসভায় স্পিকারকে বলে এবং আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে, ফাঁসি, ধর্ষকের ফাঁসি চাই এই বিল আমরা পাস করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব, আমি জানি রাজার পাঠ, রাজাবাবু কিছু করবে না, না করলে মেয়েরা মনে রাখবেন রাজভবনে গিয়ে বসে থাকবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, ভাইরাও থাকবে। এই বিলে সই করতে হবে, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়ে দায়িত্ব সারলে হবে না। কিন্তু রাজ্য় সরকারের পক্ষে কি শেষপর্যন্ত এই আইন প্রণয়ন আদৌ সম্ভব? এই আইন তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে বিরোধীরাও।


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।