কলকাতা: বাংলায় আসছেন ১৯৯৩ সাল থেকে। কখনও মিউজিক কনসার্ট, কখনও প্রতিযোগীতামূলক শো, কখনও আবার অতিথি বিচারক হিসাবে। তবে এবারে তাঁর দায়িত্ব অনেকটা বেশি। এবার তিনি কেবল অতিথি নন, একটা গোটা শো-এর বিচারকের গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। স্টার জলসায় সম্প্রচারিত হবে সুপার সিঙ্গার রিয়্যালিটি শো। সেই শো-তে বিচারকের ভূমিকায় দেখা যাবে সোনু নিগমকে। ছোট্ট প্রতিযোগীদের গানের গুণমাণ বিচার করবেন তিনি। কেবল সোনু নিগম নয়, শোয়ে বিচারকের ভূমিকায় থাকবেন কৌশিকী চক্রবর্তী ও কুমার শানু। সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকবেন যীশু সেনগুপ্ত।


আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সোনু বলেন, ' ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলার সঙ্গে আমার যোগাযোগ। বিভিন্নবার, বিভিন্ন কারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলায় আমার অনেক বন্ধু রয়েছেন, অনেক অনুরাগীও রয়েছে। এখানকার মানুষদের থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি আমি। তবে আমার দায়িত্ব এবার অনেক বেশি। সুপার সিঙ্গার প্রতিযোগীতামূলক শো-এর অংশ হিসাবে কাজ করব আমি। আমরা আমাদের আগের প্রজন্ম থেকে গান সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। তাঁদের দেখে শিখেছি। আমরা চাই, পরবর্তী প্রজন্মও আমাদের থেকে শিখুক। চিরকালই অনেক প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীর জন্ম দিয়েছে বাংলা। তবে হ্যাঁ, আমার একটা অভ্যাস আছে। একটু আবেগতাড়িত হলেই আমি কেঁদে ফেলি। মঞ্চে বসে আমার যেন চোখে জল না আসে।'


প্রতিযোগীতামূলক শো নিয়ে সোনু নিগম বলছেন, 'আমাদের সময় রিয়্যালিটি শো থাকলে হয়ত চলার পথ আরও একটু মসৃণ হত। তবে আমার কোনও আফশোস নেই। ভগবান আমায় পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন ভারতকে রিয়্যালিটি শো-এর সঙ্গে পরিচিত করাতে। সেটা আমি করেছি। ভারতে প্রথম রিয়্যালিটি শো আয়োজন করেছি আমি। আমার কাজ শেষ। এখানে যোগ দিয়ে সমস্ত প্রতিযোগীর সুরকে বিচার করব। সুর তাল বুঝব। কোনও ধারণা তৈরি করে বিচারকের চেয়ারে বসব না। প্রতিযোগীদের প্রতিভাকে বিচার করব। তবে সবসময় স্তুতি করব না। প্রতিযোগীদের ভুলও ধরিয়ে দেব। নাহলে ওদের অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে।'


বাকি দুই বিচারক সম্পর্কে সোনু বলছেন, 'শানুদার (কুমার শানু) থেকে আমি মাইকে গান গাওয়া শিখেছি। আর কৌশিকি (কৌশিকি চক্রবর্তী) -র বাবার গান শুনে আমি কত রেওয়াজ করছি। ৩জন একসঙ্গে কাজ করব, ভেবেই ভালো লাগছে। অপেক্ষায় রয়েছি।'