কলকাতা:  অসুস্থ মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে।  প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় বিধায়ককে। কাশি, ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি।ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে মানিকতলার বিধায়ককে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভেন্টিলেশনে রাখার পর বিধায়কের শারীরিক অবস্থা কিছুটা হলেও স্থিতিশীল। 


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর সিওপিডি ও রেনাল প্রবলেম রয়েছে। চিকিৎসকরা সব কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল। 


উল্লেখ্য, এবার বিধানসভা ভোটের আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। 


উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পান্ডে। এবার বিজেপির কল্যাণ চৌবেকে হারিয়ে জিতেছিলেন তিনি। এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে।  তৃণমূলের জয়লাভের প্রসঙ্গে সাধন পাণ্ডে বলেন, ‘মানুষের হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। জনগণই আমাদের শক্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের শক্তি। জেতার পর আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। ফুলের মালা পরতে গেলে কাঁটা সহ্য করতে হবে। গত ১০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি।’ তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তাঁকে দলে বেসুরোও শুনিয়েছে।


এবারের বিধানসভা ভোটে সাধন পান্ডের লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। ২০১৯-র লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী, মানিকতলা আসনে সামান্য ব্যবধানে এগিয়েছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটে ঘাসফুলের দুর্গে পদ্মের আগমন বার্তায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তবে বিধানসভা ভোটের প্রচারে লোকসভার ফলাফলকে গুরুত্বই দিতে চাননি তিনি। প্রচারের সময় বারবার বলেছিলেন, এবার লক্ষ্য নয়। অর্থাৎ , নবমবারের জন্য বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া। বিধানসভা ভোটের আগে বারেবারেই বলেছেন, লোকসভার ভোট আর বিধানসভা ভোটে অনেক ফারাক। সারা বছর সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ। এর সুফল মিলবেই।  
একসঙ্গে ছিল দলের গোষ্ঠী-কোন্দল। কিন্তু সেই সব প্রতিকূলতাকে ধর্তব্যের মধ্যেই আসনে চাননি তিনি।  ভোটের ফলাফলে এবারও বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়ে  বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন সাধন।