মুম্বই: করোনাকালে ফের রক্ষাকর্তা তিনিই। এবার ঝাঁসি থেকে এয়ারলিফ্ট করে হায়দরাবাদে পৌঁছে দিলেন করোনা আক্রান্তকে। ফের দৃষ্টান্ত স্থাপন সোনু সুদের।


করোনা আক্রান্ত কৈলাস অগ্রবাল ঝাঁসির বাসিন্দা। করোনার উপসর্গ দেখা দিতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানকার হাসপাতালে জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য আরও উন্নত পরিকাঠামো প্রয়োজন তাঁর। অর্থাৎ বড় হাসপাতাল। কৈলাসের পরিবার অনেক হাসপাতাল ঘুরেও খালি পাননি কোনও বেড। স্থানীয় এমএলএর কাছে গিয়েও কোনও ফল হয়নি। এরপরেই ট্যুইটারে সোনু সুদের দ্বারস্থ হল তাঁরা। আবেদনের কথা সোনুর কাছে পৌঁছলে তিনি খবর নিয়ে জানতে পারেন, রোগীর অবস্থা সংকটজনক। তখনই হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে ওই রোগীর জন্য আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করেন তিনি।'


সমস্যার শেষ হয়নি এখানেই। সংকটজনক রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এতটা রাস্তা নিয়ে আসা অসম্ভব। উপায় একমাত্র এয়ারলিফট। অথচ গোটা ঝাঁসিতে কোথাও বিমানবন্দর নেই। ঝাঁসিতেই পৌঁছে গিয়েছিল সোনুর টিম। তাঁরাই গোয়ালিয়র নিয়ে যায় ওই রোগীকে। সোনু বলছেন, 'সবচেয়ে সমস্যার কাজ ছিল সব জায়গা থেকে অনুমতি নিয়ে, নিয়ম মেনেও কতটা তাড়াতাড়ি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।'


আপাতত অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কৈলাস অগ্রবাল। তাঁর সুস্থতা কামনায় ট্যুইটও করেছেন সোনু।


তবে এই প্রথম নয়। এর আগে ২৫ বছরের কোভিড আক্রান্তেরও রক্ষাকর্তা হয়েছিলেন সোনু। করোনা ভাইরাস নষ্ট করে দিয়েছিল ভারতীর ফুসফুসের ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ। সোনুর সাহায্য নিয়েই নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ভারতীর ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হায়দরাবাদ নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। তখনই ফের ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সোনু। অন্য কোনও যানবাহনে ভারতীকে হায়দরাবাদ নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাতে অনেকটা সময় লাগত। ভারতীর জরুরি ছিল একমো সাপোর্ট।আগে থেকেই হায়দরাবাদের হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থা করে ফেলেন সোনু। এরপর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করো ভারতীকে নিয়ে যাওয়া হয় হায়দরাবাদে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ভারতী। তাঁর সুস্থতা কামনায় ট্যুইটও করেছিলেন সোনু সুদ।