মুম্বই: নোভেল করোনাভাইরাস অতিমারী সংক্রমণ রুখতে দেশে লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে যে মানুষটি বিপন্ন, দুর্গত মানুষের পাশে দাড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি, তিনি সোনু সুদ। করোনাকালে মাইলের পর মাইল হেঁটে ঘরের পথে সপরিবারে পা বাড়ানো কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা তাঁকে ভাবিয়েছে। তাঁদের ট্রেন, বাসে, এমনকী কোনও কোনও ক্ষেত্রেও বিমানে ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করেছেন। সোনু, তাঁর টিম একটি টোল ফ্রি নম্বর, একটি হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনও খোলেন, যার মাধ্যমে বিপদে পড়া ঘরে ফিরতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের সাহায্য করা হয়েছে। দুঃস্থ ঘরের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন, কর্মহীন শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেও পদক্ষেপ করেছেন। রীতিমতো ‘সুপারহিরো’র মর্যাদা পান তিনি।
কিন্তু বলিউড তারকার নিজের কী এমন আর্থিক সঙ্গতি আছে যে তিনি কল্পতরু হয়ে উঠে ‘গরিবের মসিহা’-র স্টেটাস পেয়েছেন? একটি সংবাদ সূত্রের দাবি, লকডাউনের সময় তাঁর মানবিক ভূমিকার জন্য় গত সেপ্টেম্বরে এসডিজি স্পেশাল হিউমেনিটারিয়ান অ্য়াকশন অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সোনু ১০ কোটি টাকার ব্য়বস্থা করতে মুম্বইয়ের জুহুতে নিজের আটটি সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন। এর মধ্যে আছে ৬টি ফ্ল্য়াট, দুটি দোকান। সব সম্পত্তিরই যৌথ মালিক সোনু ও তাঁর স্ত্রী সোনালি।
সম্পত্তিগুলি বন্ধক রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্য়াঙ্কের কাছে। গত সেপ্টেম্বরে এগ্রিমেন্ট হয়েছে, ২৪ নভেম্বর তা নথিভুক্ত হয়েছে। এই লোনের জন্য় বছরে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করে সোনু বলেছিলেন, এ জীবন বদলে দেওয়া অভিজ্ঞতা। দিনে ১৬-১৮ ঘণ্টা ওদের সঙ্গে কাটানো, ওদের যন্ত্রণা, দুঃখ শেয়ার করা। যখন ওরা ঘরের পথে রওনা দেয়, তখন বিদায় জানাতে গিয়ে বুকটা খুশিতে ভরে ওঠে।