দুপুর ১ নাগাদ তৃণমূল ভবনে একে একে এসে হাজির হন হলদিয়া পুরসভার ২৯ কাউন্সিলরের মধ্যে ২৫ জন। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আসেননি ৪ জন। বৈঠক চলে টানা ৪৫ মিনিট ধরে। এ ব্য়াপারে জানতে চাওয়া হলে ফিরহাদ বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক নিয়ে বাইরে বলতে হলে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বলতে হবে।
তবে পুরমন্ত্রী সরাসরি কিছু বলতে না চাইলেও বৈঠকের আগাগোড়া খোলসা করেন শুভেন্দু-বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত হলদিয়ার কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি বলেন, হলদিয়াতে তৃণমূলে যে ক্রাইসিস চলছে, সেই বিষয়ে ববিদা ডেকেছিল, মিটিংয়ে তিনি সমস্ত কাউন্সিলরকে বলেছেন, যাদের যেতে হয় এখুনি চলে যান, তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন, দল করতে হলে দলে থাকতে হবে। ববি হাকিম জিজ্ঞেস করেন, বলার থাকলে বলুন, যদিও সমস্ত কাউন্সিলররা দাবি করেছেন দলের সঙ্গেই আছেন।
এখানেই থামেননি হলদিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে যখন চ্যাপ্টার ক্লোজ হওয়ার জল্পনা তখন শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়লে আদতে দলের লাভ দেখছেন তিনি। দেবপ্রসাদবাবুর দাবি, শুভেন্দু দলত্যাগ করলে দলে প্রভাব পড়বে না, জোর জবরদস্তি ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের দিয়ে কাউন্সিলরদের উস্কানোর চেষ্টা করছেন শুভেন্দু, তাই ববিদা ডেকেছে। কাউন্সিলররা বলেছে দলের সঙ্গে থাকবে। তবে এখনই স্পষ্ট হচ্ছে না।
যদিও পুরমন্ত্রীর পথে হেঁটে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক বৈঠকের বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি। শুধু সৌহার্দ্যপূর্ণ ডাক এসেছিল, পুরসভার কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত সোমবারই মেদিনীপুরে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাশিত ভাবেই উপস্থিত ছিলেন না অধিকারী পরিবারের কেউই। জল্পনা বাড়িয়ে এদিনই কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ারের গেস্ট হাউসে নিজের অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করেন শুভেন্দু। তারপরই মঙ্গলবার তৃণমূলের এই বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।