মুম্বই: করোনায় অনাথ শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব সরকারকে নিতে বলা থেকে শুরু কর সমস্ত মানুষের পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তার কথা একাধিকবার উঠে এসেছে সোনু সুদের মুখে। আর এবার পড়ুয়াদের দিকে আরও একবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সোনু সুদ। আর্থিক অভাবের জন্য যে সমস্ত পড়ুয়ারা আইপিএস পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে পারছেন না, তাঁদের জন্য় বিনামূল্যে কোচিং স্কলারশিপের বন্দোবস্ত করলেন সোনু সুদ।


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন সোনু সুদ। সেখানে তিনি লেখেন, 'আইএএস -এর জন্য নিজেকে তৈরি করতে চান? আপনার সমস্ত দায়িত্ব নেব আমরা। আমার খুব ভালো লাগছে 'সম্ভবম' এক বিষয়ে আপনাদের জানাতে। সোনু সুদ চ্য়ারিটি ফাউন্ডেশান ও দিয়া দিল্লি সংস্থার উদ্য়োগে এই কাজটি শুরু করা হচ্ছে।'


প্রয়োজন আছে এমন পড়ুয়াদের বিনামূল্যে কোচিং ক্লাসের বন্দোবস্ত করা হবে এই উদ্যোগে। আবেদন জানাতে হবে অনলাইনে। শেষ দিন ৩০ জুন। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত তথ্য শেয়ার করেছেন সোনু সুদ নিজে। সোনুর এই নতুন উদ্যোগ ফের একবার মুগ্ধ করেছে তাঁর অনুরাগীদের।


এপ্রিল মাসের শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সোনু সুদ। সেখানে তিনি তুলে ধরেছিলেন এক গভীর সমস্যার কথা। দেশে ক্রমশই গুরুতর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। অনেকেই ভাইরাস প্রকোপে হারিয়েছেন প্রিয়জনকে। এদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। তাঁদের কথা উঠে এল সোনু সুদের কথায়। ভিডিওতে সোনু বলেছেন, ' আমি আজ সরকার ও যাঁরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে চান এমন মানুষদের কাছে একটা অনুরোধ করতে চাই। আমরা দেখেছি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলেছেন। কেউ মা কে হারিয়েছে, কেউ বাবা কে। কেউ আবার উভয়কেই। এদের মধ্যে কারও বয়স ৮, কারও ১২ বা তারও কম। আমার বার বার মনে হয় এই সমস্ত শিশুদের ভবিষ্যতের কী হবে?'


সোনু যোগ করলেন, 'আমার মনে হয়, এমন একটি নিয়ম হওয়া উচিত যাতে এই সমস্ত শিশুদের পড়াশোনা নিখরচায় হয়। সরকারি, বেসরকারি যে যেই বিদ্যালয়েই পড়ুক না কেন তাঁদের পড়াশোনা নিখরচায় হোক। এমনকি মেডিক্যাল থেকে শুরু করে তাদের ক্ষেত্রে যে কোনও ক্ষেত্রেই শিক্ষায় অর্থ খরচ হওয়া উচিত নয়। 'অনেক পরিবারই এমন রয়েছেন যাঁরা পরিবারের মাথাকে হারিয়েছেন। অর্থাৎ একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যকে হারিয়েছেন। তাঁদের জন্য এমন কিছু নিয়ম হওয়া উচিত যাতে সেইসব সংসারগুলো চলে যায়।'


সোনু শেষ করেন এই বার্তা দিয়ে যে, 'যাঁরা ক্ষমতার অধিকারী বা যাঁরা সত্যিই নিয়ম বানাতে পারেন, তাঁদের কাছে আমি অনুরোধ করব এগিয়ে আসার জন্য। তাঁরা যেন এই সমস্ত পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার কথা ভাবেন।'