তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: পর্দায় যিনি গুছিয়ে সংসার করেন, পাকা গৃহিণীর মতো সামলান সবকিছু.. বাস্তবে কেমন সেই নায়িকা? লাইটস্-ক্যামেরা-অ্যাকশনের বাইরে, বাড়িতে কেমন করে জীবন কাটান তিনি? পর্দায় তিনি যতই 'পারফেক্ট' হোন না কেন, বাস্তবে তাঁর কি কি বদঅভ্যাস রয়েছে? এবিপি লাইভে (ABP Live)-এ খোঁজ নিল, 'মিঠাই' বা রুমি নয়... মানুষ সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundoo)-র।
কাজের সময় সৌমিতৃষা প্রচণ্ড খাটতে পারেন, অথচ বাড়িতে নাকি যে কোনও কাজ করতেই তাঁর ভীষণ আলসেমি! সৌমিতৃষা বলছেন, 'আমার বদঅভ্যাসের মধ্যে খুব বড় হল, আমি বাথরুম থেকে বেরিয়ে দরজা বন্ধ করি না। আলো ও নেভাই না। সঙ্গে কোনও ব্যাগ নিয়ে গেলে, সবসময় তার চেন খোলা থাকে। আর আমার সঙ্গে সবসময় যেই থাকুন না কেন, অবিশ্বাস্যভাবে তিনি হন ভীষণ সংসারী। তিনি আমার ব্যাগ গুছিয়ে, জিনিসপত্র সামলে রাখেন। বাড়িতে আমি কোনও কাজই প্রায় করি না। এমনকি জলতেষ্টা পেলেও বাবাকে বলি জলের বোতলটা এগিয়ে দিতে।' কেবল এই একটিই নয়, হাসতে হাসতে সৌমিতৃষা যোগ করলেন, 'আমার স্বীকার করতে লজ্জা নেই, নখ খাওয়া আমার ভীষণ বদ অভ্যাস। আর সেটা বন্ধ করতেই আমি সবসময় নেল এক্সটেনশন করিয়ে রাখি।' বাড়িতে সৌমিতৃষা একমাত্র মেয়ে, তাই ভীষণ আদরেরও। কী নামে তাঁকে বাড়িতে ডাকা হয়? সৌমিতৃষা বলছেন, 'বাড়িতে আমায় সাধারণ সোনাই, বাবাই, সুনু এইসব বলেই ডাকে বাবা-মা। মাসি নাম দিয়েছে কোয়েল। তবে রাগ করলে মায়ের ডাকগুলো বদলে যায়। যেমন, রেগে গেলে মা বলেন, 'অ্যাই ডাস্টবিন এদিকে আয়'।
কখনও মনের মানুষ জীবনে এলে, কেমন হবেন তিনি? সৌমিতৃষা বলছেন, 'আমার প্রথমেই মনে হয়, একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে। সারাদিন কথা বলার প্রয়োজন নেই, তবে একে অপরের প্রতি সম্মানটা থাকে যেন। কেউ পারফেক্ট নয়। আমার মনে হয় একটু যদি মানিয়ে নিতে পারি, তাহলে সব সম্পর্কই টিঁকে যায়। আমায় একজন সমমনস্ক মানুষকে পেতে হবে। আর হ্যাঁ.. হাসিটা সুন্দর হতে হবে। একটু লম্বা হতে হবে... আর হ্যাঁ.. বসে ভাঁড়ে চা খেতে হবে। নাহলে তো কথাই এগোবে না।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে