কলকাতা: কিছুদিন আগেই ডেঙ্গির (Dengue) জন্য় নিজের বোনকে হারিয়েছেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্য়ায় (Saheb Chatterjee)। তাই এবারের পুজোয় কোনও আনন্দ-উচ্ছাস নেই। তবুও উমার বাপেরবাড়ি আসার এই কটা দিন কেমনভাবে কাটান অভিনেতা, সেকথাই এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন তিনি। 


বালিগঞ্জ কালচারাল দুর্গোৎসব (Durga Puja 2023) তাঁর পাড়ার পুজো। ফলে বছরের এই পাঁচ দিন বাড়ির সামনেটা থাকে একাবারে জমজমাট। মানুষের ভিড়, খাবারের স্টল, রাস্তার ধারে ধারে ব্য়ানার, সবমিলিয়ে সাজো সাজো রব। আগে মাঝেমধ্য়ে শোয়ের কারণে কলকাতার (Kolkata) বাইরে যেতে হলেও এই শহরের পুজোর সঙ্গে তাঁর যোগ নাড়ির। ফলে গত কয়েকবছর ধরে কলকাতাতেই পুজো কাটে 'হৃৎপিন্ড' অভিনেতার। পাড়ায় বসে পুজো উপভোগ করতে বেশ ভালবাসেন তিনি। শহরের বাইরে থাকার সময় বন্ধুদের ভিডিও কল করে পুজো দেখানোর অনুরোধ করতে হত তাঁকে। কথায় কথায় বোনের সঙ্গে পুজো কাটানোর কথাও উঠে এল। বোনের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা তাঁর স্মৃতিতে একেবারে উজ্জ্বল। 


আরও পড়ুন...


'কলকাতার পুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ খাওয়াদাওয়া', মুম্বইয়ে কীভাবে পুজো কাটান 'বন্দিশ ব্য়ান্ডিট' অভিনেতা?


কেমন ছিল ছোটবেলার পুজো?


পুজোয় তাঁর অন্য়তম ভালবাসা হল জমিয়ে ঢাক বাজানো। কারণ অভিনয় ও গান গাওয়ার পাশাপাশি ঢাক বাজানোও অভিনেতার পছন্দের কাজ। ছেলেবেলায় ঢাকিদেরকে চা খাইয়ে তাদের সঙ্গে ব়্যাপো করে তাদের ঢাক নিয়ে বাজাতে ভালবাসতেন তিনি। আর এই স্মৃতিকে এতটুকু মলিন হতে না দিয়ে এখনও মাঝে মধ্য়েই প্য়ান্ডেলে গিয়ে ঢাক বাজান অভিনেতা। এর পাশাপাশি ছোটবেলায় পাড়ার প্য়ান্ডেলে ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব সামলাতেন ছোট্ট সাহেব। তবে ঠাকুর দেখতে আসা লোকজন তাঁকে খুব একটা পাত্তা দিত না। তা নিয়ে বেশ মনখারাপও হত 'দত্তা' অভিনেতার। তবে পুজোর সময় ঠাকুর নামানো থেকে ঠাকুর তোলা সবেতেই তিনি সদা হাজির থাকতেন। ছোটবেলায় কার্তিক-গণেশের লরিতে উঠে একেবারে ভাসান অব্দি যাওয়ার আনন্দ ছিল সর্বকালের সেরা অনুভূতির মধ্যে অন্য়তম।


এসবের মধ্য়েই নিজের কাজ নিয়েও কথা বললেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্য়ায়। 'উনিশে এপ্রিল' নামক সিরিজের কাজ সদ্য়ই শেষ করেছেন তিনি। পাশাপাশি গ্রাম্য় পটভূমিকায় একটি গানের শ্য়ুটিংও শেষ করেছেন অভিনেতা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial